সংক্ষিপ্ত
গতরাতে গাড়িতে করে বিটি রোড ধরে যাচ্ছিলেন তিনি। সেখানেই তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা বোমা ও গুলি ছুড়তে শুরু করে। তখনই গুলিবিদ্ধ হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।
রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা এখনও অব্যাহত রয়েছে রাজ্যে। গভীর রাতে খড়দায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল এক তৃণমূল নেতার। মৃত রণজয় শ্রীবাস্তব ব্যারাকপুর লোকসভার তৃণমূলের হিন্দি সংগঠনের সম্পাদক ছিলেন। গতরাতে গাড়িতে করে বিটি রোড ধরে যাচ্ছিলেন তিনি। সেখানেই তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা গুলি করতে শুরু করে। তখনই গুলিবিদ্ধ হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জারি রয়েছে জিজ্ঞাসাবাদ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল রাতে বিটি রোড ধরে বাড়ি ফিরছিলেন রণজয় শ্রীবাস্তব। তাঁর গাড়িতে আরও একজন ছিলেন। অভিযোগ, খড়দা বাগদি পাড়া এলাকায় তাঁর গাড়ি পৌঁছতেই একদল দুষ্কৃতী তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি করতে শুরু করে। চার রাউন্ড গুলি চালায় দুস্কৃতীরা। গুলি লাগে তাঁর গলার নিচে। সেখানেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। এরপরই এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা।
আরও পড়ুন- নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে ব্যক্তিকে গণপিটুনি মালদহে, মাথা ফাটল এএসআইয়ের
স্থানীয় বাসিন্দারা রণজয়কে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে ব্যারাকপুর বি এন বোস হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ভোররাতে কলকাতার বাইপাস লাগোয়া একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই রাস্তায় মৃত্যু হয় তাঁর।
আরও পড়ুন- বাসের ধাক্কায় তছনছ বরযাত্রীর গাড়ি, ফলতায় মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মৃত তিন শিশু সহ ৫
আরও পড়ুন- অস্বস্তি চরমে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে, আজ ভারী বৃষ্টির কমলা সর্তকতা, প্রবল বর্ষণ দুই বঙ্গে
এই ঘটনার খবর পাওয়ার পরই তদন্ত শুরু করে দেয় খড়দা থানার পুলিশ। দুষ্কৃতীদের খোঁজে রাতেই শুরু হয় তল্লাশি। এরপর কানা বিনোদ, জোয়ালা, আবির, মিঠু সহ আরও একজনকে গ্রেফতার করে খড়দহ থানার পুলিশ। আজ তাদের ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হবে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আগে থেকে পরিকল্পনা করে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। কী কারণে এই তৃণমূল নেতাকে খুন করা হয়েছে তা তদন্তের মাধ্যমে জানার চেষ্টা করছেন তাঁরা।