সংক্ষিপ্ত

সিল করে দেওয়া হয়েছে বসিরহাট মহাকুমার হাসনাবাদ থানা এলাকায় হাসনাবাদ বাসস্ট্যান্ড নিকটস্থ একটি সাইবার ক্যাফে। অভিযোগ, এই ক্যাফ দিয়েই দীর্ঘদিন থেকে দূরপাল্লার ট্রেনের টিকিট জাল করত প্রতারকেরা।

ডিজিট্যাল যুগের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে ব্যাঙ্ক হোক বা অনলাইন লেনদেন সর্বত্রই বাড়ছে প্রতারণা চক্রের দৌরাত্ম্য। কিন্তু তাই বলে একেবারে ট্রেনের টিকিট জাল করার ভুয়ো ব্যবসা? শুনতে অবাক লাগলেও এমনটাই ঘটেছে বসিরহাটে(hacking in Basirhat)। সিল করে দেওয়া হয়েছে বসিরহাট মহাকুমার হাসনাবাদ(Hasnabad) থানা এলাকায় হাসনাবাদ বাসস্ট্যান্ড নিকটস্থ বনবিবি সেতুর কাছের একটি সাইবার ক্যাফে। অভিযোগ, এই ক্যাফ দিয়েই দীর্ঘদিন থেকে দূরপাল্লার ট্রেনের টিকিট জাল করত প্রতারকেরা। এক ব্যক্তিকেও গ্রেফতার করেছে বারাসাত(Barasat) আরপিএফ (Basirhat)

অভিযোগ, সফটওয়্যারের মাধ্যমে হ্যাকিং করে দূরপাল্লার ট্রেনের টিকিট(train ticket) সহ বিভিন্ন রেলের নথিপত্র জাল করত ৩০ বছরের সাবির আলম মন্ডল নামে ওই ব্যক্তি (Hacker)তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সফটওয়্যারের মাধ্যমে হ্যাকিং করে দূরপাল্লার ট্রেনের টিকিট সহ বিভিন্ন রেলের নথিপত্র জাল করার। সূত্রের খবর, সম্প্রতি দিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের জাল টিকিট বিক্রি করেছে এক ব্যক্তিকে। রাজধানী এক্সপ্রেসের টিটিই টিকিট দেখতে চাইলে দেখেন পুরো টিকিটটিই জাল। কোথা থেকে ওই ব্যক্তি টিকিট কেটেছিলেন তা শোনার পরেই ওই চক্রের পর্দা ফাঁস হয়।

আরও পড়ুন- দরজায় কড়া নাড়ছে ধনলক্ষ্মী, লটারি কেটে রাতারাতি কোটপতি জয়নগরের প্রৌঢ়

টিকিট জাল জানার পর ওই সাইবার ক্যাফের মালিকের বিরুদ্ধে আরপিএফের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ওই ব্যক্তি। তাঁর কাচ থেকে নির্দিষ্ট অভিযোগ পেয়েই গতকাল রাতের অন্ধকারে বসিরহাটের ওই ক্যাফেতে হানা দেয় আরপিএফ-র বিশেষ দল। ইতিমধ্যেই সাবিরের সাইবার ক্যাফে সিল করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। টিকিট জাল করার সমস্ত মেশিন গুলি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। রেল পুলিশের অনুমান, দীর্ঘদিন ধরে এই সাবির বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দূরপাল্লার ট্রেনের টিকিটের কারবারি করতেন। এদিকে সাবিরের বাড়ি হাসনাবাদ থানার আমলানি গ্রাম পঞ্চায়েতের ঢোলটুকারী গ্রামে বলে জানা যাচ্ছে।

আরও পড়ুন- ফ্লাই অ্যাশ কারখানায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা, ছাইয়ের স্তূপে ছাপা পড়ে মৃত্যু তিন শ্রমিকের

সাবিরের গ্রেফতারিতে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হাসনাবাদ এলাকাতেও। তবে ভাইয়ের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সাবিরের দাদা। তবে পুলিশের অনুমান সাবিরের সঙ্গে বড় আরও কোনও চক্রের যোগ থাকতে পারে। এই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ(RPF investigation) করা হচ্ছে ধৃতকে। স্থানীয় সূত্রে খবর বছর দুয়েক ধরেই ওই এলাকায় ব্যবসা করছে অভিযুক্ত যুবক। তার আগেও অন্য জায়গাতেও একই ব্যবসা করত সে।