সংক্ষিপ্ত
রামপুরহাট কাণ্ডে কথা বলার জন্য অমিত শাহের থেকে সময় চেয়েছে তৃণমূল। এদিন সংসদে দাঁড়িয়ে এ কথা জানিয়েছেন লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
রামপুরহাট(Rampurhat) কাণ্ডে গতকাল থেকেই উত্তাল বাংলার রাজ্য-রাজনীতি। জল গড়িয়েছে দিল্লির(Delhi) দরবারেও। এদিকে ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনার নেপথ্য রহস্য জানতে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট তলব করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বিজেপি-র(BJP) তরফে তৈরি করা হয়েছে তদন্তকারী দল। তাতে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (State Bjp President Sukanta Majumdar) পাশাপাশি রয়েছেন ভারতী ঘোষের মতো আইপিএস আধিকারিকেরাও। এদিকে গতকালই রামপুরহাট কাণ্ড নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপি সাংসদেরা।নেতৃত্বে ছিলেন সুকান্ত মজুমদার। সঙ্গে ছিলেন দিলীপ ঘোষ, লকেট চট্টোপাধ্যায়, অর্জুন সিংরা। যা নিয়ে গতকাল থেকে দিনভর উত্তপ্ত ছিল বাংলার রাজনৈতিক মহল। এবার বুধবার একই ইস্যুতে শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তৃণমূল সাংসদেরা। যা নিয়ে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
সূত্রের খবর, রামপুরহাট কাণ্ড নিয়ে কথা বলার জন্য অমিত শাহের থেকে সময় চেয়েছে তৃণমূল। এদিন সংসদে দাঁড়িয়ে এ কথা জানিয়েছেন লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়েই তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর। এদিন সাংসদে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা যায়, “মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বগটুই গ্রামের ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। পারিবারিক বিবাদের এই ঘটনা ঘটেছে। বিজেপি, সিপিএম রাজনৈতিক রঙ চড়ানোর চেষ্টা করছে।” তার এই বক্তব্যের পরেই তুমুল শোরগোল শুরু হয়ে যায় সংসদজুড়েই। কোলাহলের মধ্যে দাঁড়িয়েই তিনি জানান, “আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করব। তাঁকে বগটুইয়ের ঘটনা পুরোটা জানাব।” তবে তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে রাজ্য প্রশাসনের তরফে স্বারাষ্ট্র মন্ত্রীকে আলাদা করে কিছু জানানো হবে কিনা সেই বিষয়ে পরিষ্কার করে কিছু বলেলনি তিনি।
আরও পড়ুন- সিট গঠন করে মুখ্যমন্ত্রীর মাথায় ছিট হয়েছে, ফের তোপ সেলিমের
আরও পড়ুন- রামপুরহাট গণহত্যায় নয়া মোড়, বীরভূমের পুলিশ সুপারকে চিঠি শিশু অধিকার রক্ষা কমিশনের
তবে কখন সেই সাক্ষাত পর্ব হতে চলেছে সেই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত বিশদে কিছু জানতে পারা যায়নি। রামপুরহাটের ভয়াবহ হত্যালীলা ফের একবার প্রশ্ন চিহ্নের সামনে দাঁড় করিয়েছে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে। আগুনে জীবন্ত পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ৮ জনকে। এদিকে এই সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে সরাসরি বাংলায় ৩৫৫ ধারা প্রয়োগের দাবি তুলেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। এমনকী রাষ্ট্রপতির কাছেও এই দাবি জানানোর কথা তিনি জানিয়েছেন। একইসুর শোনা গিয়েছে বিজেপি-র গলাতেও। যা নিয়েও তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা।
আরও পড়ুন- রাষ্ট্রপতির কাছে ৩৫৫ ধারা জারির আর্জি জানাব, রামপুরহাট কাণ্ডে বিস্ফোরক অধীর