সংক্ষিপ্ত
তৃণমূলের উপপ্রধান খুনের পর অগ্নিগর্ভ রামপুরহাট।রামপুরহাটের ঘটনায় রাজ্য় সরকারকে তোপ দাগলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
রামপুরহাটের (Rampurhat Incident) ঘটনায় রাজ্য় সরকারকে তোপ দাগলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের উপপ্রধান খুনের পর অগ্নিগর্ভ রামপুরহাট। অশান্তি আগুনে জ্বলেছে সেখানের একের পর এক ঘর। ইতিমধ্যেই উদ্ধার করা হয়েছে ১৩ টি দেহ। রামপুরহাটের হিংসা এবং অশান্তির ঘটনায় এরপরেই মমতার সরকারকে তোপ দাগলেন রাজ্যপাল। রামপুরহাটের ঘটনায় মুখ্যসচিবের কাছে যাবতীয় তথ্য তলব করেছেন তিনি।
'এভাবে রাজ্যে অরাজকতা চলতে দিতে পারি না'
মঙ্গলবার দুপুরে একটি ভিডিও বিবৃতি করে রামপুরহাটের ঘটনায় রীতিমত উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। তিনি ওই ভিডিওবার্তায় তিনি জানিয়েছেন, এবিষয়ে তিনি অবগত হতে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে তথ্য দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। ভিডিও বার্তায় রাজ্যপাল বলেছেন, রামপুরহাটের ভয়াবহ ও নৃশংস ঘটনা আমি মর্মাহত। ডিজিপির বিবৃতি অনুসারে রামপুরহাটকাণ্ডে ইতিমধ্য়েই রাজ্যের ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা যে মুখ থুবড়ে পড়েছে, এই ঘটনা তারই ইঙ্গিত দিয়েছে। এভাবে রাজ্যে অরাজকতা চলতে দিতে পারি না, এটা আমি আগেও বলেছি। প্রশাসনকে রাজনৈতিক বিভাজনের উপরে উঠতে হবে। আমি পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে এব্যাপারে পেশাদারিভাবে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছি। রাজ্যের মুখ্যসচিবকে অতিদ্রুত এই ঘটনা নিয়ে অবগত করতে বলেছি। রামপুরহাটের এই ঘটনায় আজ স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, রাজ্যের মানবধিকার বিপন্ন অবস্থায় রয়েছে, আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে।'
আরও পড়ুন, 'রামপুরহাট মধ্যযুগীয় বর্বরতা', মমতার পদত্যাগের দাবিতে বিধানসভায় ওয়াকআউট বিজেপির
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের দাবি, ঘটনাস্থলে কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইছে বিজেপি
বরশাল পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপপ্রধান ভাদুশেখকে খুনের পরেই অগ্নিগর্ভ রামপুরহাট।রাতেই কয়েকটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বেশ কয়েকজনের মৃত্য়ু হয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই মহিলা এবং দুজন শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। একজনের দেহ অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় রামপুরহাট হাসাপাতালে আনা হয়। তবে বাকি দেহগুলি লোপাট করে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ। এদিকে এই ঘটনার পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-র হস্তক্ষেপের দাবি করেছে রাজ্য বিজেপি। ঘটনাস্থলে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানোর দাবি জানিয়েছে তারা।
ঠিক কী হয়েছিল রামপুরহাটে ?
প্রসঙ্গত, নিহত তৃণমূল নেতা বীরভূমের রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান ছিলেন। নাম ভাদু শেখ। সোমবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে বগটুই মোড়ে দাঁড়িয়ে ফোন করছিলেন তিনি। সে সময় দুটি মোটর বাইকে চার দুষ্কৃতী তাকে লক্ষ্য করে পর পর কয়েকটি বোমা ছোড়ে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। জনবহুল এলাকায় বোমাবাজির ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ভয়ে অন্যান্যরা ছুটে পালিয়ে প্রাণ বাঁচান। খবর পেয়ে বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে উপ প্রধানকে উদ্ধার করে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনার পরেই বগটুই গ্রাম জুড়ে শুরু হয় বোমাবাজি। তৃণমূল নেতা খুনে দুষ্কৃতীদের ধরতে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই প্রশাসনের তরফে সিট গঠন করা হয়েছে।