সংক্ষিপ্ত
- একমাত্র ছেলের ব্রেন ডেথ হওয়ার পরে তাঁর হার্ট, কিডনি, লিভার ও চোখ দান করলেন মা বাবা
- দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১৯ বছরের সৌরনীল ঘোষের
- চিকিৎসকরা জানান তাঁর ব্রেন ডেথ হয়েছে
- সঙ্গে সঙ্গে পরিবার অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত নেয়
একমাত্র ছেলের ব্রেন ডেথ হওয়ার পরে তাঁর হার্ট, কিডনি, লিভার ও চোখ দান করলেন মা বাবা। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১৯ বছরের সৌরনীল ঘোষের। রানিগঞ্জের দম্পতি সেই একমাত্র ছেলের ব্রেন ডেথের পরে অঙ্গদান করে নজির গড়লেন।
একমাত্র ছেলে সৌরনীল ঘোষকে ভেলোর সিএমসিতে চিকিৎসা করিয়েও বাঁচাতে পারেননি তাঁরা। কিন্তু অন্যের জীবন তো বাঁচবে ছেলের অঙ্গে! তাই বুধবার মা চন্দনা ঘোষ ও বাবা সোমনাথ ঘোষ ছেলের অঙ্গদান করলেন।
ভেলোর ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলেজিতে পড়াশুনা করছিলেন সৌরনীল। গত শনিবার বন্ধুদের সঙ্গে মোটরবাইকে বেরিয়ে তিরুঅনন্তপুরম যাচ্ছিলেন। তখনই দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি। প্রথমে তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে সিএমসিতে আনা হয়। খবর পেয়ে ওই দিনই রানিগঞ্জ থেকে ভেলোর ছুটে যান সৌরনীলের বাবা মা। তাঁদের সঙ্গে যান সৌরনীলের বাবার বন্ধু কৌশিক শ্যাম রায়।
আরও পড়ুনঃ খিদিরপুরের বস্তিতে আগুন! নিমেষে ভস্মীভূত ১০ টি ঝুপড়ি
চিকিৎসকরা তাঁদের জানান, অ্যাবডোমেনে অধিক রক্ত ক্ষরণের ফলে টিস্যু শুকিয়ে যায় সৌরনীলের। পরবর্তীকালে রক্ত দিয়েও সামাল দেওয়া যায়নি। জানা গিয়েছে, শরীর থেকে আড়াই লিটার রক্ত বেরিয়ে যায় তাঁর। এর পরে ব্রেন ডেথের খবর দেন চিকিৎসকরা। সঙ্গে সঙ্গে পরিবার সৌরনীলের অঙ্গদান করার সিদ্ধান্ত নেন। সেই মতো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা করে দেন।
সৌরনীল রানিগঞ্জের এসকেএস পাবলিক স্কুলে পড়াশুনা করেছেন ২০১৮ সাল পর্যন্ত। এর পরে ভেলোর ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিক্যাল কলেজে ভর্তি হন তিনি। ২০২২ সাল পর্যন্ত এই কলেজে পড়ার কথা ছিল তাঁর।
কৌশিকবাবু জানিয়েছেন, চিকিৎসকরা ব্রেন ডেথ ঘোষণার পরেই সৌরনীলের বিভিন্ন অঙ্গ প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সোমনাথবাবু ও চন্দনাদেবী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন, তাঁদের ছেলে আরও অনেকের মধ্যে বেঁচে থাকুক। একমাত্র সন্তানকে হারানোর শোকের মধ্যেও এই ভাবনা থেকেই ছেলের অঙ্গ প্রতিস্থাপনে রাজি হন সৌরনীলের বাবা-মা।বৃহস্পতিবার তাঁরা রানিগঞ্জ ফিরবেন বলে জানা গিয়েছে।