সংক্ষিপ্ত
- রেড ভলান্টিয়ার্সদের সাহায্যের কথা সবাই জানেন
- বিধানসভা ভোটে একটাও আসন পাননি তাঁরা
- তবুও মানুষকে সাহায্য করতে ভোলেননি
- করোনা পরিস্থিতির মধ্যে সবার দিকেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন
লোকমুখে একটা আলোচনা, রেড ভলান্টিয়ার্স না থাকলে যে হারে মৃতদেহ পড়ে থাকত তাতে রাজ্যটা উত্তরপ্রদেশের গঙ্গা তীরের মতো আকার নিত। অথচ বিধানসভায় সিপিআইএম শূন্য পশ্চিমবঙ্গ। তাদের স্বেচ্ছাসেবকদের অস্তিত্ব জনসাধারণের মুখে মুখে। নজিরবিহীনভাবে গত ৭০ বছরে বঙ্গ বিধানসভা ভবনে বামেরা ওয়াশ আউট হয়েছে জনতার রায়ে। এখন যা অবস্থা তাতে কে বলবে এই বামেরা টানা ৩৪ বছর পশ্চিমবঙ্গ শাসন করেছিল। এখানেই তৈরি হয়েছে একটি অনন্য অবস্থান। শূন্য পাওয়া সিপিআইএমের নবীন প্রজন্ম তাদের ক্ষয়িষ্ণু সংগঠনের কঙ্কালকে সঙ্গে নিয়ে নেমেছেন করোনা মোকাবিলায়।
পরিস্থিতি এমন যে তাদের রেড ভলান্টিয়ার্সের ফোন নম্বরই এখন শাসক তৃণমূল কংগ্রেস ও বিরোধী বিজেপি নেতা, বিধায়কদের ভরসা। দুটি দলের তরফে বারবার যোগাযোগ করা হয় সিপিআইএমের এই লাল স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে। রেড ভলান্টিয়ার্সের অন্তত ১ লক্ষ সদস্য সব জেলায় ছড়িয়ে। তাদের পরিকাঠামো রূপায়ণ এমনই যে করোনা আক্রান্ত হলেই প্রশাসনের থেকে এই বাম ছাত্র যুব কর্মীদের উপরেই ভরসা রাজ্যবাসীর। রাজ্য ছাড়িয়ে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশে প্রবল আলোচিত রেড ভলান্টিয়ার্স। করোনা রোগীদের বাড়িতে ওষুধ, খাবার, অক্সিজেন সরবরাহ যেমন করছেন এরা, তেমনই করোনায় মৃতদের দেহ শ্মশানে বা কবরস্থানে নিয়ে যাচ্ছেন।
নির্বাচনে ফল ঘোষণার পরে বারবার আক্রান্ত হয়েছে সিপিআইএমের রেড ভলান্টিয়ার্স। এই নিয়ে রাজ্যজুড়ে সমালোচিত হয় তৃণমূল। পরে শাসক দলের নেতৃত্ব সরাসরি রেড ভলান্টিয়ার্সের সাহায্য চান। তবে এদের অনুকরণে তৃণমূল তৈরি করে যুব যোদ্ধা। এরা কাজ শুরু করলেও তেমন ছড়াতে পারেনি। দলীয় নীতি আদর্শের কারণেই রেড ভলান্টিয়ার্সরা ভোটে হারলেও কাজ চালাবেন, এমনই জানাচ্ছেন বাম ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্ব।
রেড ভলান্টিয়ার্সের পাশাপাশি রেড কিচেন তৈরি হয়েছে। আগে থেকেই চলছে বাম দলগুলির কমিউনিটি রান্নাঘর ও শ্রমজীবী ক্যান্টিন। বিভিন্ন বাম শ্রমিক সংগঠনের তরফে স্বল্প মূল্যে কোভিড ক্যাব চলছে। করোনা সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রবল লড়াই করছে রেড ভলান্টিয়ার্স।