সংক্ষিপ্ত
তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে টুইটারে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন অগ্নিমিত্রা। তিনি বলেন, "বিজেপিকে ভোট দেওয়ার খেসারত দিচ্ছেন মালদহ হরিশচন্দ্রপুরের মানুষ। ত্রাণ সামগ্রী মিলছে না। মিলছে না খাবার, পানীয় জল, ওষুধ ও করোনার টিকা। মনে হচ্ছে রাজনৈতিক রং দেখে রাজ্যের মানুষকে ত্রাণ সামগ্রী বিলি করা হয়। তালিবানি মানসিকতা...বিরোধীদের দমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।"
বিজেপিকে ভোট দেওয়ায় মিলছে না ত্রাণ। জুটছে না খাবার ও পানীয় জল। এই অভিযোগ তুলে গতকাল বিক্ষোভে সামিল হন মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে প্লাবিত এলাকার বাসিন্দারা। বাসিন্দাদের দাবি, পঞ্চায়েত এবং বিধানসভা নির্বাচনে এই সব গ্রামে নাম মাত্র ভোট পেয়েছে তৃণমূল। তাই তাঁদের অভিযোগ, সেই কারণেই তাঁরা যাবতীয় সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাঁদের ত্রাণও দেওয়া হচ্ছে না। জুটছে না একটা ত্রিপল। খাবার ও পানীয় জল না থাকায় অনাহারে জলবন্দি হয়ে রয়েছে প্রায় ৫ হাজারটি পরিবার। এর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। রাজ্য সরকারকে তালিবানের সঙ্গে তুলনা করেন তিনি।
তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে টুইটারে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন অগ্নিমিত্রা। তিনি বলেন, "বিজেপিকে ভোট দেওয়ার খেসারত দিচ্ছেন মালদহ হরিশচন্দ্রপুরের মানুষ। ত্রাণ সামগ্রী মিলছে না। মিলছে না খাবার, পানীয় জল, ওষুধ ও করোনার টিকা। মনে হচ্ছে রাজনৈতিক রং দেখে রাজ্যের মানুষকে ত্রাণ সামগ্রী বিলি করা হয়। তালিবানি মানসিকতা...বিরোধীদের দমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।"
উল্লেখ্য, মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে ফুলহারের জলে প্লাবিত ৮ টি গ্রাম। প্লাবিত ঘর বাড়ি ও কৃষি জমি। জলের মধ্যে বন্দী প্রায় ৫ হাজার পরিবার। হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকের ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৮ টি গ্রামের মধ্যে কাউয়াডোল, উত্তর ও দক্ষিণ ভাকুরিয়া, মিরপাড়া, রশিদপুর, খোপাকাঠি, তাঁতিপাড়া এবং ইসলামপুরে ফুলহারের জল ঢুকে পড়েছে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, সব জায়গায় বেছে বেছে ত্রাণ বিলি করা হচ্ছে। বিজেপিকে ভোট দেওয়ার শাস্তি হিসেবে তাঁদের ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে না। জলের মধ্যে থেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকে। কিন্তু চিকিৎসা করাতে পারছে না। কারণ তাঁদের স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নেই। এমনকী, করোনার টিকা থেকেও বঞ্চিত করা হচ্ছে তাঁদের।
আরও পড়ুন- আফগানিস্তান থেকে বনগাঁর বাড়িতে ফিরলেন ৩ বাঙালি, খুশির হাওয়া পরিবারে
আরও পড়ুন- মঙ্গলবারও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস উত্তরবঙ্গে, ভ্যাপসা গরম বজায় থাকবে দক্ষিণবঙ্গে
আরও পড়ুন- ৩৮ বছর ধরে ১৮২ দেশের মুদ্রা সংগ্রহ, রয়েছে বাবর-আকবরের মুদ্রাও
যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেন জেলা তৃণমূল নেতা বুলবুল খান। তিনি বলেন, "তৃণমূল সরকারের কাছে সবাই সমান। তৃণমূল এই রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না, আমরা খোঁজ নিয়ে দেখছি, যদি এরকম হয়ে থাকে তাহলে আমরা নিজেরা গিয়ে দাঁড়িয়ে থেকে এলাকাগুলোতে ত্রাণ পৌঁছে দিয়ে আসব। তৃণমূল সরকারকে বদনাম করার চক্রান্ত করছে বিজেপি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কখনও দল দেখে কাজ করে না। ওই এলাকায় গতবার আমরা নিজে দাঁড়িয়ে ত্রাণ দিয়ে এসেছিলাম। এবার ত্রাণ পঞ্চায়েতে পাঠানো হয়েছে। পৌঁছতে তাই হয়তো কিছুটা সময় লাগছে। যে সব অভিযোগ উঠছে তা মিথ্যে।"