সংক্ষিপ্ত
রিপোর্টের গ্রহণযোগ্যাতার নিরিখে আরটিপিসিআর টেস্টকেই এখনও পর্যন্ত সবথেকে বেশি নির্ভরযোগ্য পরীক্ষা পদ্ধতি হিসাবে ধরা হয়। এবার এই টেস্টের খরচই এক ধাক্কায় অনেকটা কমিয়ে দিল রাজ্য সরকার।
জল্পনা শোনা যাচ্ছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। অবশেষে সমস্ত জল্পনা সত্যি করে একধাক্কায় রাজ্যে করোনার আরটিপিসিআর টেস্টের খরচ (Cost of RTPCR test) অনেকটাই কমালো রাজ্য সরকার (State Government)। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গোটা দেশের পাশাপাশি রাজ্যেও করোনা টেস্টের ক্ষেত্রে ব়্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের (Rapid antigen test for corona test) পাশাপাশি আরটিপিসিআর টেস্টও চলছে দীর্ঘদিন থেকেই। কিন্তু রিপোর্টের গ্রহণযোগ্যাতার নিরিখে আরটিপিসিআর টেস্টকেই এখনও পর্যন্ত সবথেকে বেশি নির্ভরযোগ্য পরীক্ষা পদ্ধতি হিসাবে ধরা হয়। এবার এই টেস্টের খরচই এক ধাক্কায় অনেকটা কমিয়ে দিল রাজ্য সরকার। এখন থেকে ৯৫০ টাকার পরিবর্তে ৫০০ টাকাতেই করা যাবে আরটিপিসিআর টেস্ট (RTPCR test can be done for 500 rupees instead of 950 rupees.)।
সূত্রের খবর, পরীক্ষার কিট এবং অন্যান্য সরঞ্জামের বাজারদর কমাতেই খরচ কমানোর নির্দেশ দিল রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশন। এদিকে জ্বর, শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ থাকলে বা কোভিড রোগীর সংস্পর্শে এলেই মূলত করোনা টেস্টের কথা বলেন ডাক্তারেরা। অন্যদিকে বিমানযাত্রার ক্ষেত্রেও এখন বহু জায়গায়তেই করোনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক। আর এই ক্ষেত্রে বরাবরই অগ্রাধিকার দেওয়া হয় আরটিপিসিআর টেস্টকেই। এবার এই পরীক্ষার খরচ কমে যাওয়ায় যে অনেকটাই স্বস্তি ফিরবে সাধারণ মানুষের তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এদিকে দুনদিন আগে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা যায়, রাজ্যে এখনও আরটিপিসিআরে পজিটিভিটি রেট ৩০ শতাংশের বেশি। সেখানে অ্যান্টিজেন টেস্টে পজিটিভিটি রেট মাত্র ৪ শতাংশ। যা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় বিভিন্ন মহলে। এমনকী অ্যান্টিজেন টেস্টের গ্রহণ যোগ্যতা নিয়েও বারেবারে উঠতে থাকে প্রশ্ন। যদিও তারপর থেকেই আরটিপিসিআর টেস্ট বাড়ানোর উপর নতুন করে জোর দিতে থাকেন সকলেই।
আরও পড়ুন-BSF-র প্রজাতন্ত্র দিবসের ভিডিওতে আলাদা রাজ্য উত্তরবঙ্গ, অমিত শাহকে চিঠি বাংলা পক্ষের
আরও পড়ুন-“কিষানজীর মৃত্যুর বদলা চাই”, মাওবাদী পোস্টারে ফের ব্যাপক চাঞ্চল্য পুরুলিয়ায়
এদিকে অ্যান্টিজেন টেস্টের থেকে আরটিপিআর টেস্টের খরচ ছিল বেশ অনেকটাই বেশি। তাই ব্যয়বহুল এই পরীক্ষায় বিপাকে পড়ছিল আম-আদমি। কিন্তু। এবার এই টেস্টের খরচ কমে যাওয়াতেই অনেকটাই স্বস্তি ফিরেছে নাগরিক মহলে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরেই রাজ্যের করোনা সংক্রমণ রয়েছে নিম্নমুখী। এমনকী বর্তমানে দৈনিক গড়ে ৫ হাজারের নীচে রয়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। অন্যদিকে সামগ্রিক ভাবে টেস্ট বাড়লেও কমেছে পজেটিভিটি হার। যদিও রাজ্যের মোট করোনা পরীক্ষার সিংহভাগই বর্তমানে অ্যান্টিজেন টেস্ট। কিন্তু আরটিআর টেস্টের পরিমাণ বাড়লে পরিস্থিতি কোন দিকে যায় সেটাই দেখার।