সংক্ষিপ্ত

  • উচ্চমাধ্য়মিক পরীক্ষার প্রথমদিনে বাড়িতে বাজ পড়ে যান বাবা
  • সন্ধ্য়ামণি নিজেও জখম হয়ে হাসপাতালে ভরতি হয়
  • এই পরিস্থিতে ঘুরে দাঁড়ায় সিমলাপালের সন্ধ্য়ামণি মান্ডি
  • শুক্রবার হাসপাতালে বসেই পরীক্ষা দেয় সে

বজ্রাঘাতেও থামেনি সন্ধ্য়ামণির লড়াইউচ্চমাধ্য়মিকের প্রথম দিন পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার পর বাজ পড়ে চোখের সামনে মারা যান তার বাবাসে নিজেও জখম হয়কিন্তু দু-দিনের মাথায় আবার সে ফিরে আসে লড়াইয়ের ময়দানে

কী ঘটেছিল?

গত বৃহস্পতিবার উচ্চমাধ্য়মিকের প্রথম দিনের পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরে সিমলাপালের মঙ্গলময়ী বিদ্য়ামন্দিরের উচ্চমাধ্য়মিক পরীক্ষার্থী সন্ধ্য়ামণি মান্ডি  বাড়ি ফেরার পথে তাদের জামিরডিহা গ্রামের বাড়িতে আচমকা বাজ পড়ে গুরুতর জখম হন বাবা ও মেয়ে দুজনেই সঙ্গেসঙ্গে দুজনকে উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় সেখানে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা সন্ধ্য়ামণির বাবা মনোরঞ্জন মান্ডিকে মৃত বলে ঘোষণা  করেন অন্য়দিকে চিকিৎসা চলতে থাকে সন্ধ্য়ামণির  

এই পরিস্থিতিতে এ-বছর সন্ধ্য়ামণির পরীক্ষা  দেওয় কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ে কিন্তু ঘুরে দাঁডায় সন্ধ্য়ামণি একদিকে বাবার শোক আর অন্য়দিকে নিজের আঘাত, সবকিছুকে উপেক্ষা করে সে হাসপাতালের বেডে শুয়েই পরীক্ষা দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করে  সে খবর শুনে এগিয়ে আসে জেলা প্রশাসন  হাসপাতালেই সন্ধ্য়ামণির পরীক্ষার ব্য়বস্থা করা হয় শুক্রবার বিডিও রবীন্দ্রনাথ অধিকারী তৎপর  হন হুইল চেয়ারে করে হাসপাতালের বেড থেকে কনফারেন্স হলে নিয়ে আসা হয় তাকে সেখানে অসুস্থ সন্ধ্য়ামণির জন্য় দেওয়া হয় একজন রাইটার হলের বাইরে কাগজ সাঁটিয়ে দিয়ে লেখা হয়, কেউ বিরক্ত করবেন না, ভেতরে উচ্চমাধ্য়মিক পরীক্ষার্থী রয়েছে  

এইভাবেই উচ্চমাধ্য়মিকের দ্বিতীয় দিনের পরীক্ষা দেয় সন্ধ্য়ামণি মান্ডি লড়াকু সন্ধ্য়ামণিকে অভিনন্দন জানান শিক্ষকরা বাকি দিনের পরীক্ষাগুলোও সে হাসপাতালে বসেই দিতে পারবে, জানান বিডিও নিজে