সংক্ষিপ্ত
- দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের বেসরকারি ব্যাঙ্কের ঘটনা
- ব্যাঙ্ক লুঠের চেষ্টা কয়েকজন দুষ্কৃতীর
- লুঠের চেষ্টা রুখলেন নিরাপত্তারক্ষী
গ্রাহক সেজে ব্যাঙ্কে ঢুকেছিল দুষ্কৃতীরা। কিন্তু নিরাপত্তারক্ষীর তৎপরতা এবং সাহসিকতাতেই ভেস্তে গেল টাকা লুঠের ছক। সোমবার সকালে দুর্গাপুরের ব্যস্ততম সিটি সেন্টার এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়াল এই ঘটনায়।
ব্যাঙ্ক সূত্রের খবর, এ দিন বেলা এগারোটা নাগাদ ডাকাতির উদ্দেশ্যে ওই বেসরকারি ব্যাঙ্কে ছ'- সাতজনের একটি দুষ্কৃতী দল জড়ো হয়। গ্রাহক সেজেই ব্যাঙ্কের ভিড়ের মধ্যে মিশে যায় তারা।
ঠিক সেই সময়ই বেসরকারি একটি এজেন্সির কর্মীরা ব্যাঙ্কে নগদ টাকা রাখতে এসেছিলেন। একজন দুস্কৃতী সেই নগদ টাকার ব্যাগ নিয়ে ব্যাঙ্কের গেট দিয়ে দৌড়ে বেরিয়ে আসতেই ওই ব্যাঙ্কের নিরাপত্তারক্ষী জয়প্রকাশ সিংহ রায় ওই দুষ্কৃতীকে জাপটে ধরে ফেলেন। ব্যাঙ্কে সেই সময় অন্য কোনও নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন না। ওই দুষ্কৃতীর সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষীর ধস্তাধস্তির সুযোগে বাকি দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। যদিও, টাকা ব্যাগ নিয়ে পালাতে যাওয়া দুষ্কৃতীকে কোনওমতেই ছাড়েননি জয়প্রকাশ সিংহ রায় নামে ওই যুবক। ব্যাঙ্কের বাকি কর্মী এবং গ্রাহকরা এসে ওই দুষ্কৃতীকে আটক করে। উদ্ধার হয় টাকা ভর্তি ব্যাগটিও। পরে পুলিশ এসে ওই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।
ওই তরুণ নিরাপত্তারক্ষীর তৎপরতাতেই যে এ দিন টাকা লুঠের চেষ্টা আটকানো গিয়েছে, ব্যাঙ্কের ম্যানেজার সুমন চক্রবর্তীও তা স্বীকার করেছেন। লুঠের চেষ্টা রুখে কার্যত নায়ক হয়ে যাওয়া নিরাপত্তারক্ষী জয়প্রকাশ সিংহ রায় বলেন, 'ব্যাঙ্কের মধ্যে থেকে হঠাৎ চিৎকার শুনলাম। তার পরেই একজনকে দৌড়ে পালাতে দেখে সন্দেহ হওয়ায় ধরে ফেলি। সেই সুযোগেই বাকি দুষ্কৃতীরা পালায়।' অর্থ লুঠের চেষ্টা রুখে দিয়েও অবশ্য নির্লিপ্তই ছিলেন ওই নিরাপত্তারক্ষী। নিজের দায়িত্বটুকু যথাযথভাবে পালন করেই খুশি তিনি।