সংক্ষিপ্ত
ভোট পিছানো নিয়ে অভিষেকের ‘ব্যক্তিগত মতামত’ নিয়ে কয়েকদিন আগেই তোপ দেগে কল্যাণকে বলতে শোনা যায়, “এই পদে থেকে কারও কোনও ব্যক্তিগত মত থাকতে পারে না। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদটি সর্বক্ষণের।”
অভিষেক-কল্যাণ তরজা নিয়ে যেন বিতর্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না শাসক তৃণমূলের। ইতিমধ্যেই ইস্যুতে দফায় দফায় তোপ দেগেছেন বঙ্গ বিজেপি-র নেতারা। এমনকী বিতর্কের জল এতদূর এগিয়েছে যে দলের মধ্যে আড়াআড়ি ফাটলও তৈরি হয়ে গিয়েছে। কেউ দাঁড়িয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের (All India General Secretary Abhishek Bandopadhyay) পক্ষে কেউ আবার দাঁড়িয়েছেন শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়ের (Kalyan Bandyopadhyay, MP from Srirampur) পক্ষে। যা নিয়ে বিস্তর আলোচনা চলছে রাজ্য-রাজনীতির ময়দানে। এদিই রাজ্যজোড়া বিতর্কের মাঝে ফের তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়কে (Trinamool supremo Mamata Banerjee) স্মরণ করতে দেখা গেল কল্যাণকে। তাঁর কথায়, “আমাদের কাজের মূল প্রেরণার নাম আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিই আমাদের শিখিয়েছেন মানুষের পাশে থাকতে হবে।”এদিকে কল্যাণের এই মন্তব্য নিয়েই ফের চাপানউতর তৈরি হয়েছে তৃণমূলের অন্দরে। অনেকই বলছেন চাপের মুখে পড়ে মমতার নাম নিচ্ছেন কল্যাণ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভোট পিছানো নিয়ে অভিষেকের ‘ব্যক্তিগত মতামত’ নিয়ে কয়েকদিন আগেই তোপ দেগে কল্যাণকে বলতে শোনা যায়, “এই পদে থেকে কারও কোনও ব্যক্তিগত মত থাকতে পারে না। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদটি সর্বক্ষণের।” তাঁর এই মন্তব্য নিয়েই শুরু হয় জোরদার বিতর্ক। তৃণমূল নেতাদের একাংশের মতে দলের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধাচারণ করে আদপে দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন কল্যাণ। এমনকী এরপরই দলের মুখ্য সচেতকের পদ থেকে কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়ের পদত্যাগও দাবি করেন আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। যা নিয়েও বিস্তর জলঘোলা হয় তৃণমূলের অন্দরে।
এদিকে সম্প্রতি রিষড়ার এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ফের এই বিতর্ক নিয়ে মুখ খুলতে দেখা যায় কল্যাণকে। মঞ্চ থেকেই তাঁর সাফ দাবি, "মমতাই ধ্যান-জ্ঞান। মমতা তাঁর নিঃশ্বাসে-প্রশ্বাসে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথে হেঁটেই আজ এই জায়গায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই প্রেরণা। সারা বাংলা আজ মমতাময়"। এমনকী তাঁর এও দাবি, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো এমন বিরোধী দলনেত্রী ভারতবর্ষে খুঁজে পাওয়া যায়নি। আর ২০১১ সালের পর ভারতবর্ষে সবচেয়ে ভাল প্রশাসক, ভাল মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন যিনি তাঁর নামও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একটা দিন ছিল যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য আমরা লড়াই করতে পেরেছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই সিপিআইএমকে উৎখাত করেছেন।” যদিও অভিষেক ইস্যুতে একটাও শব্দ খরচ করতে দেখা যায়নি তাঁকে। আর এখানেই ফের বিতর্কের গন্ধ পাচ্ছেন অনেকে।