সংক্ষিপ্ত
প্রবল বৃষ্টির কারণে কোথাও হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল বাড়ি কোথাও ব্রিজ। বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা।
প্রবল বৃষ্টির (Heavy Rain) কারণে কোথাও হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল বাড়ি (house Damaged), কোথাও ব্রিজ (Bridge)। বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা। এক টানা প্রবল বৃষ্টির কারণে (continuous heavy rain) পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর মহকুমায় (Raghunathpur Block of Purulia) বিভিন্ন জায়গা দেখা গেল জলমগ্ন অবস্থায়। আর এই মুষলধারায় লাগাতার বৃষ্টিপাত হওয়ায় রঘুনাথপুর মহকুমার সাঁতুড়ি ব্লকের অন্তর্গত মোকড়া ও সুনুড়ি গ্রামে দেখা গেল হুড়মুড়িয়ে কাঁচা বাড়ি ভেঙে পড়তে।
এছাড়াও বৃহস্পতিবার সাতুরি ব্লকের অন্তর্গত নিমটিকুড়ি থেকে পিরলগড়িয়া অর্থাৎ সাঁতুড়ি থেকে বাঁকুড়া জেলার তিলুড়ি যাওয়ার রাস্তার ব্রিজ ভেঙে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল যোগাযোগ ব্যবস্থা। এলাকার মানুষজন জানিয়েছেন এই রাস্তা দিয়েই যাওয়া যায় হাসপাতাল, বাজার এবং বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে।
আরও পড়ুন --পিছন থেকে এক লাফে গলা কামড়ে ধরল চিতা, বাড়ির সামনে গুরুতর জখম বৃদ্ধা, দেখুন ভিডিও
ফলে যে কোনও পরিষেবা থেকেই বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছেন এলাকার মানুষ। কোনও রোগীকে হাসপাতাল নিয়ে যেতে গেলে সাতুরি বাজার হয়ে অনেকটা রাস্তা ঘুরে যেতে হবে, তাই একাধিক গ্রামের অসুবিধা হয়ে গেল এই ব্রিজ ভেঙ্গে যাওয়াতে।
এ বিষয়ে সাঁতুড়ি ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক শুভদীপ বেরা জানিয়েছেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এ বিষয়ে তিনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। অন্যদিকে টানা দু দিনের বৃষ্টির জেরে টাটা পুরুলিয়া ৩২ নং জাতীয় সড়কের ফের কুমারীর অস্থায়ী সেতু ভেঙে পড়ায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন -- অক্টোবর থেকে অচল হয়ে যাবে এই ব্যাঙ্কগুলির চেকবই, জানুন বিস্তারিত
প্রসঙ্গত সদ্য পেরিয়ে যাওয়া যশ ঝড়ের সময় সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় তৎক্ষণাৎ প্রশাসনের তৎপরতায় অস্থায়ী সেতু পুনঃ নির্মাণ করা হয়েছিল। টাটা পুরুলিয়া জাতীয় সড়কের সম্প্রসারণ হওয়ার ফলে কুমারী নদী ওপর যে পুরনো সেতু ছিল সেটি ভেঙ্গে নতুন করে নির্মাণ করা হচ্ছে। যানবাহন চলাচলের জন্য তার পাশে একটি অস্থায়ী সেতু তৈরি করা হয়।
এই অস্থায়ী সেতু ধ্বসে যাওয়ার ফলে যান চলাচল একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়। তবে বলরামপুর চকবাজারে বলরামপুর থানার পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেওয়ায় বন্ধ হয়ে রয়েছে ৩২ নং জাতীয় সড়ক। ফলে গাড়ি চালকেরা বরাবাজার, বামুনডিহা, চাকোলতোড় হয়ে পুরুলিয়া যাচ্ছে। তবে সেতুর ওপরে প্রচুর পরিমাণে জল জমে থাকার কারণে নির্মাণের কাজ শুরু করা যায়নি।
"