সংক্ষিপ্ত

মনে করা হচ্ছে কলেবর সিং-কে খুনের সুপারি দেওয়া হয়েছিল। সূত্রের খবর তপন কান্দু-কে খুন করে ঝাড়খণ্ডে ফিরে গিয়েছিল কলেবর।

পুরুলিয়ার ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনে গ্রেফতার করা হলো শ্যুটারকে। ঝাড়খণ্ডের বোকারোর জসিডি এলাকা থেকে ধৃত ওই শ্যুটারের নাম কলেবর সিং। শুক্রবারই বোকারো আদালতে তোলা হয়েছে তাকে। ওই ব্যক্তিকে পুরুলিয়া নিয়ে আসা হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। মনে করা হচ্ছে কলেবর সিং-কে গ্রেফতার করে বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে আসবে।

ঝাড়খণ্ডের ভাড়াটে খুনিদের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের যোগ রয়েছে। এর আগেও একাধিক ঘটনায় তা সামনে এসেছে। সেই যোগ প্রামণ হল আরও একবার। মনে করা হচ্ছে কলেবর সিং-কে খুনের সুপারি দেওয়া হয়েছিল। সূত্রের খবর তপন কান্দু-কে খুন করে ঝাড়খণ্ডে ফিরে গিয়েছিল কলেবর।  

প্রসঙ্গত, পুরুলিয়ার ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। গুলিবিদ্ধ অবস্থাতেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়, রাঁচির একটি বেসরকারি হাসপাতলে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। মৃত্যু হয় কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর। এদিকে ত্রিশঙ্কু ঝালদা পুরসভায় কংগ্রেসকে সংখ্যালঘু করতেই শাসকদল হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতো। 

রবিবার দুপুরে নবনির্বাচিত কাউন্সিলরদের নিয়ে সংবর্ধনা সভা করেছিল কংগ্রেস। সেখানে সস্ত্রীক যোগ দিয়েছিলেন কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। সভা থেকে বিকেলে একাই বেরিয়ে যান। রাস্তায় আচমকাই তিন দুষ্কৃতি গুলি করে পালায়। প্রথমে গুরুতর জখম তপন কান্দুকে নিয়ে যাওয়া হয় ঝালদা মহাকুমা হাসপাতালে। সেখান থেকেই স্থানান্তরিত করা হয়, রাঁচির বেসরকারি হাসপাতালে। এরপরেই মৃত্যু হয় তার।

এদিকে, আগামী ৫ এপ্রিল ঝালদা পৌরসভার বোর্ড গঠন।বোর্ড গঠনের নোটিফিকেশন পত্র নিয়ে তপন কান্দুর বাড়িতে পৌঁছান ঝালদা পৌরসভার কর্মী।তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু সাফ জানিয়ে দেন যতদিন না খুনিরা ধরা পড়ে, খুনের কিনারা হচ্ছে তিনি বোর্ড গঠনের নোটিশ গ্রহণ করবেন না নোটিশে সইও করবেন না। 

পূর্ণিমা কান্দু  একান্ত সাক্ষাৎকারে জানান, ভোটের ফলাফল প্রকাশের সময় তৃণমূল কংগ্রেস পক্ষ থেকে ১২ মার্চ ঝালদা পৌরসভায় বোর্ড গঠনের জন্য দিন ধার্য্য করা হলেও সরকার তা করেনি।ঝালদা পৌরসভার বোর্ড গঠনের জটিলতা হতে পারে বুঝেই তার স্বামীকে গুলি করে খুন করা হয়।তাই এই বোর্ড গঠনে আপত্তি রয়েছে।কারণ পৌর বোর্ড গঠনের জন্যই তার স্বামীকে খুন হতে হয়েছে বলে জানিয়ে দেন তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু। যদিও পরে তপন কান্দুর ভাইপো মিঠুন কান্দু নোটিফিকেশন পত্রে সই করে দেন। 

এদিকে মহামান্য উচ্চ আদালতের নির্দেশে তপন কান্দুর পরিবারকে দেওয়া হল পুলিশি নিরাপত্তা। পূর্ণিমা কান্দুকে সর্বক্ষণের জন্য দুই জন নিরাপত্তা রক্ষি এবং ভাইপো মিঠুন কান্দুকে এক জন নিরাপত্তা রক্ষী দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে পূর্ণিমা কান্দুর বাড়িতে সর্বক্ষণের জন্য মোতায়েন রয়েছে চারজন নিরাপত্তারক্ষী। নিরাপত্তারক্ষী প্রসঙ্গে তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু জানান, যখন নিরাপত্তারক্ষীর প্রয়োজন ছিল, তখন নিরাপত্তা পাইনি। তাহলে হয়তো এই ঘটনা ঘটতো না তবুও মহামান্য আদালতের নির্দেশকে সম্মান জানাই।