সংক্ষিপ্ত

তৃতীয়ার দিনই এসেছিল দুঃসংবাদ

দুর্গাপূজার প্যান্ডেলে দর্শনার্থীদের নো-এন্ট্রি

কোভিড মহামারি ঠেকাতেই এই নির্দেশ দিয়েছিল ক্যালকাটা হাইকোর্ট

পঞ্চমীর সকালে উত্তরবঙ্গে কী ছবি দেখা গেল

 

দুর্গাপুজোর তৃতীয়ার দিন এসেছিল দুঃসংবাদ। ততদিনে কলকাতা-সহ বাংলার বিভিন্ন প্য়ান্ডেলে প্যান্ডেলে ভিড় হওয়া শুরু হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু, তারমধ্য়েই ক্যালকাটা হাইকোর্ট দর্শনার্থীদের জন্য রাজ্যের সমস্ত দুর্গাপূজা প্যান্ডেলগুলি নো-এন্ট্রি জোন হিসাবে ঘোষণা করেছিল। তারপর থেকে কীভাবে পূজা উপভোগ করবেন সাধারণ মানুষ - তাই নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। তবে উত্তরবঙ্গ যেন আগে থেকেই এর জন্য প্রস্তুত ছিল।

পঞ্চমির সকালে শিলিগুড়ির অধিকাংশ এলাকাতেই দেখা গেল উন্মুক্ত প্যান্ডেল। সেখানেই পুত্র-কন্যা'সহ  মা দূর্গা অবস্থান করছেন। আর হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে প্রতিটি প্যান্ডেলের সামনেই নির্দিষ্ট দূরত্বে বাধা হয়েছে বাঁশের বেড়া। সংগঠকরা জানিয়েছেন তাঁরা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনেই চলবেন। রাজ্য সরকারের জারি করা নির্দেশিকাতেই উন্মুক্ত প্যান্ডেল প্রস্তুত করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। সেইমতোই তাঁরা উন্মুক্ত প্যান্ডেল তৈরির দিকে ঝুঁকেছেন।

গত সোমবার এক জনস্বার্থ মামলার রায়ে ক্যালকাটা হাইকোর্ট জানিয়েছিল, বাংলার কোনও দুর্গাপূজা প্যান্ডেলেই দর্শনার্থীদের ঢুকতে দেওয়া যাবে না। শুধুমাত্র আয়োজকরাই প্যান্ডেলে থাকতে পারবেন। তাও এক সময়ে ১৫ থেকে ২০ জনের বেশি মানুষ ভিড় করতে পারবেন না প্যান্ডেলে। কোভিড সংক্রমণের বিস্ফোরণ ঠেকাতেই এই রায় বলে জানিয়েছিল আদালত।

সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম-এর মতো একাধারে রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার বড় পূজার সংগঠকরা অবশ্য খোলা মনে আদালতের এই রায় খোলা মনে মেনে নিতে পারেননি। সুব্রত মুখোপাধ্যায় সরাসরি জানিয়েছেন ভক্তদের তিনি প্যান্ডেলে আসতে নিষেধ করতে পারবেন না। বিজেপির পক্ষ থেকে এই রায়কে স্বাগত জানানো হলেও আদৌ সরকারের পক্ষ থেকে আদালতের নির্দেশ মানা হবে কি না, তাই নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে।