সংক্ষিপ্ত
দ্বিতীয় পিরিয়ডে পড়া না পারার কারনে কর্তব্যরত শিক্ষক দীপকে বুকে পিঠে কিল ঘুসি মারে। কিছুক্ষনের মধ্যেই বুকে তীব্র ব্যাথা ও শ্বাসকষ্ট শুরু হয় ওই ছাত্রের।
বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছেনা রায়গঞ্জের স্বনামধন্য স্কুল রায়গঞ্জ করোনেশন হাইস্কুলের। এবার এক ষষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রকে (sixth grade student) ব্যাপক মারধর (severely beaten) করল এক শিক্ষক (Teacher)। গুরুতর আহত (Severely Injured) হয়েছে ওই ছাত্র। সঙ্গে রয়েছে শ্বাসকষ্ট (Breathing trouble)। এই সব সমস্যা নিয়ে ওই ছাত্র দীপ দাস এখন ভর্তি রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এভাবে ছাত্রকে পেটানো এবং হাসপাতালে ভর্তি করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রায়গঞ্জ শহরে।
আহত ছাত্রের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে রায়গঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হবে বলে জানানো হয়েছে। রায়গঞ্জ করোনেশন হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক কালী চরন সাহা জানিয়েছেন বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে। যদিও ষষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্র দীপকে কোন শিক্ষক এভাবে মারধর করলেন তা চিহ্নিত করা যায়নি।
করোনা আবহের পর নতুন সেশনের স্কুল চালু হতেই রায়গঞ্জ করোনেশন হাইস্কুল আবারও খবরের শিরোনামে। কদিন আগেই এক শিক্ষিকাকে একবছর ধরে স্কুলে যোগদান না করানোয় উচ্চ আদালতের এজলাসে উঠতে হয় স্কুলের প্রধান শিক্ষককে। এবার স্কুলের ক্লাস চালু হতেই ছাত্র পেটানোর অভিযোগে উত্তাল হয়ে উঠল রায়গঞ্জ করোনেশন হাইস্কুল।
প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ে যায় ষষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্র দীপ দাস। অভিযোগ দ্বিতীয় পিরিয়ডে পড়া না পারার কারনে কর্তব্যরত শিক্ষক দীপকে বুকে পিঠে কিল ঘুসি মারে। কিছুক্ষনের মধ্যেই বুকে তীব্র ব্যাথা ও শ্বাসকষ্ট শুরু হয় ওই ছাত্রের। স্কুলের অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা দ্রুত প্রহৃত ছাত্র দীপকে রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে দেন। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় অসুস্থ ছাত্র দীপ দাসের বাবা দীপক দাসকে।
দীপক দাস জানান, হাসপাতাল থেকেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ফোন করে তার ছেলের অসুস্থতার খবর দেন। ছেলেকে দেখতে এসে জানতে পারি দ্বিতীয় ক্লাস পরিবেশ বিদ্যার পঠন পাঠন চলাকালীন পড়া না পারায় এক শিক্ষক দীপকে বুকে পিঠে কিল ঘুসি মারতেই অসুস্থ হয়ে পড়ে। এই ঘটনা বিস্তারিত জানিয়ে রায়গঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন আক্রান্ত ছাত্রের বাবা দীপক দাস।
ঘটনা অনভিপ্রেত বলে জানিয়েছেন রায়গঞ্জ করোনেশন হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক কালীচরণ সাহা। তিনি জানিয়েছেন কোন শিক্ষক এই কাজ করেছেন তা খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। অবশ্যই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।