সংক্ষিপ্ত

  • বিজেপি-তে গিয়েই নাম না করে মমতাকে বিঁধলেন শোভন
  • পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা নিয়ে আপত্তি করেছিলেন, দাবি প্রাক্তন তৃণমূল নেতার
  • মমতার নাম না করেও তাঁকেই নিশানা 
     

বিজেপি-তে যোগ দিয়েই নাম না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। এ দিন দিল্লিতে বিজেপি-র সদর দফতের গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ার পরেই পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে নিজের প্রাক্তন দলকে বিঁধলেন শোভন। 

শোভন এ দিন বলেন, 'যখন তৃণমূলে ছিলাম, বিভিন্ন দায়িত্ব সামলেছি। তখনই আমি প্রশ্ন করেছিলাম, পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন বিরোধীদের লড়তে দেওয়া হচ্ছে না, কেন তাদের মনোনয়ন জমা দিতে দেওয়া হচ্ছে না? এই প্রশ্ন আমি যথাযথ সময়ে এবং যথাযথ জায়গায় করেছিলাম। গণতন্ত্রে অনেক দলই থাকতে পারে। ভারতীয় জনতা পার্টি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহের নেতৃত্বে অনেক সাহসী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। তাতে শুধু বিজেপি নয়, গোটা দেশ শক্তিশালী হচ্ছে, দেশের মানুষ উপকৃত হচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে কোনও নেতিবাচক রাজনীতির সঙ্গে থাকা ঠিক বলে মনে হয়নি।' পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের গা জোয়ারি নিয়ে সরব হয়েছিলেন বিরোধীরা। প্রসঙ্গত শোভন যে এলাকার দায়িত্বে ছিলেন, সেই দক্ষিণ চব্বিশ পরগণাতেও পঞ্চায়েত নির্বাচনে একপেশে ফল করে তৃণমূল। জেলা পরিষদও দখল করে শাসক দল। 

আরও পড়ুন- বিজেপি-তে যোগ দিলেন শোভন, বড় ধাক্কা মমতার

দলবদলের দিনেই হয়তো সরাসরি প্রাক্তন নেত্রীর নাম মুখে এনে তাঁকে আক্রমণ করলেন না শোভন। কিন্তু 'যথাযথ জায়গা' বলে তিনি যে পরোক্ষে মমতাকেই বোঝালেন, তা নিয়ে সংশয় নেই রাজনৈতিক মহলের। 

মমতার অন্যতম আস্থাভাজন এবং কয়েক দশকের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা থাকা শোভন চট্টোপাধ্যায়কে দলে টানতে পেরে উৎফুল্ল বিজেপি নেতৃত্ব। শোভন চট্টোপাধ্যায় প্রায় ৩৫ বছর ধরে কলকাতা পুরসভার সঙ্গে যুক্ত। মেয়র হিসেবে পুরসভা চালানোর দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। কলকাতা পুরসভার নির্বাচনের আগে শোভনের দলে আসা বিজেপি-কে অনেকটাই এগিয়ে দিল বলে মনে করছেন বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁকেই যে কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে মুখ করা হবে, তা এ দিন বিজেপি নেতাদের কথাতেই স্পষ্ট। শোভনকে স্বাগত জানিয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। 

শোভনের যোগদান নিয়ে মুকুল রায় বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পিছনে অন্যতম বড় অবদান ছিল শোভন চট্টোপাধ্যায়। তা এখন অস্বীকার করছেন মমতা। এর পরে কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে বিজেপি-র জয় নিশ্চিত। আর বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল বিরোধী দলের মর্যাদা পাবে না।' 

এ দিন অবশ্য শোভনের সঙ্গে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় যোগদান করলেও দেবশ্রী রায় যোগদান করেননি। যদিও, এ দিন তাঁকে দিল্লির বিজেপি অফিসে দেখা গিয়েছিল।