সংক্ষিপ্ত

আজমেঢ় দরগার খাদিম সালমান চিশতিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিকাশ সাংওয়ান এই কথা জানিয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন বুধবার রাত ১২টা বেজে ৪৫ মিনিটে গ্রেফতার করা হয়েছে 

বিজেপির সাসপেন্ড হওয়া নেত্রী নূপুর শর্মার বিরুদ্ধে বিতর্কিত ও উস্কানিমূলক মন্তব্যের কারণে আজমেঢ়় দরগার খাদিম সালমান চিশতিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিকাশ সাংওয়ান এই কথা জানিয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন বুধবার রাত ১২টা বেজে ৪৫ মিনিটে গ্রেফতার করা হয়েছে ধর্মগুরুকে। এদিন তাঁকে পেশ করা হবে আদালতে। 


অভিযোগ একটি ভিডিও বার্তায় বিজেপির সাসপেন্ড হওয়া নেত্রী নূপুর শর্মার শিরোচ্ছেদের কথা বলেছিলেন তিনি। প্রায় তিন মিনিটের ভিডিও বার্তায় প্রথম ধর্মীয় অনুভূতি আর ধর্মীয় ভাবাবেগের কথা বললেও শেষে পর্যন্ত তিনি নূপুর শর্মার বিরুদ্ধে উস্কানিনমূলত মন্তব্য করেন। ভিডিও বার্তায় সলমন চিশতি নিজের মা  আর সন্তানদের নামে শপথ করে বা কসম নিয়ে নূপুর শর্মাকে গুলি করে হত্যা করার কথা বলেন। তিনি আরও বলেন তিনি নূপুর শর্মার শিরোচ্ছেদ করবেন। 

সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিওটি রীতিমত ভাইরাল হয়ে যায়। তারপরই আজমেঢ়় দরগার সংখ্যালঘু ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে স্থানীয় আলোয়ার গেট থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। তারপরই তাঁকে রাতের অন্ধকারে গ্রেফতার করা হয়। স্থানীয় পুলিশ কর্তাদের অনুমান- মদ্যপ অবস্থাতেই চিশতি ভিডিওতে ভাষণ দিচ্ছিলেন। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ভিডিওতি রাজস্থানের নূপুর শর্মার সমর্থকের হত্যার আগেই শ্যুট করা হয়েছিল। ভিডিওতে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল তিনি রাজস্থানের আজমেঢ়় দরগার থেকে বলছেন। খাজাবাবার দরগার কথাও উল্লেখ করেছেন। পুলিশ সূত্রের খাবর খাদিম চিশতিবিরুদ্ধে আগেও একাধিক অভিযোগ দায়ের হয়েছে। 

যাইহোক আজমেঢ়় শরিফের দেওয়ান জয়নুল আবেদিনি আলি খানের অফিস থেকে এজাতীয় ভিডিওর তীব্র নিন্দা করা হয়েছে। বলা হয়েছে মাজার সম্প্রীতির রক্ষা করার জায়গা। প্রাচীনকাল থেকে সেই প্রথাই চলে আসছে। খাদিমের মতামত যে দরগার মতামত নয় তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। অর্থাৎ খাদিমের এই মন্তব্যের দায় নেয়নি আজমেঢ়়  দরগা কর্তৃপক্ষ। 

একটি টেলিভিশনের অনুষ্ঠানে গিয়ে নবী মহম্মদ সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন তৎকালীন বিজেপির মুখপাত্র নূপুর শর্মার। তার মন্তব্যকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে দেশ। একাধিক স্থানে ছড়িয়ে পড়ে হিংসা। ক্ষত ঢাকতে বিজেপি তড়িঘড়ি নূপুর শর্মাকে সাসপেন্ড করেছিল। কিন্তু তারপরই নূপুর শর্মাকে কাঠগড়ায় দাঁড়ি করিয়ে তাঁকে মন্তব্যের জন্য দেশের মানুষ ক্ষমা চাইতে বলে। যদিও গতকাল ১১৭ জন প্রাক্তন বিচারপতি ও আমলা নূপুর শর্মার পাশে দাঁড়িয়ে সুপ্রিম কোর্টেরই তীব্র সমালোচনা করে।