সংক্ষিপ্ত

  • তিন বছর ধরে গড়িমসি চলছে
  • এবার আবারও এই রাজ্যের 'বাংলা' নামকরণের প্রস্তাব আবারও খারিজ করল কেন্দ্র 
  • ঘটনায় ক্ষুব্ধ রাজ্যের বিদগ্ধজনের

তিন বছর ধরে গড়িমসি চলছে। এবার আবারও এই রাজ্যের 'বাংলা' নামকরণের প্রস্তাবটি আবারও খারিজ করল কেন্দ্র। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ রাজ্যের বিদগ্ধজনেরা।

এদিন সংসদে এই বিষয়ে মুখ খোলেন রাজ্যের বহিস্কৃত সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশ্নত্তোর পর্বে তিনি স্পষ্টই জিজ্ঞেস করেন, তিনবছর ধরে কেন গড়িমসি? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রস্তাবিত বাংলা নামটি অনুমোদনের বিষয়টি কতটা এগোল? এর উত্তরেই স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই বলেন, এখনও নামবদলের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়নি। 

বলাই বাহুল্য, ২০১৮ সালে বিধানসভায় সর্বদলের সম্মতিক্রমে  স্থির হয় পশ্চিমবঙ্গের নাম 'বাংলা' করার জন্যে কেন্দ্রের অনুমোদন চাওয়া হব। এই প্রসঙ্গে বিশেষ তদ্বিরও করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনাথ সিংহকে ফোনে তিনি অনুরোধ করেন বিষয়টিকে দ্রুত অনুমোদন দিতে কেননা জাতির ভাবাবেগ জড়িয়ে রয়েছে এই নামের সঙ্গে। রাজ্যের দাবি ছিল বাংলায় হিন্দি ও ইংরেজি তিন ভাষাতেই একই নাম দিতে হবে। এই নামটি অনুমোদিত হলে কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলিতে প্রথম দিকে থাকবে বাংলার নাম। সেই প্রস্তাবকেই এদিন আরও একবার ফেরাল কেন্দ্র।

এই প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করা হলে, কবি সুবোধ সরকার বলেন, 'এই নামটির সঙ্গে বাঙালির জাতিসত্তার একটা সম্পর্ক রয়েছে। এই নাম খারিজে কোন দূরভিসন্ধি রয়েছে, প্রশ্ন উঠছে তা নিয়েই।' প্রসঙ্গত বাংলা নামটি এক্ষুনি বাতিল করা হচ্ছে না। কেন্দ্রের লিখিত বয়ান অনুযায়ী, রাজ্যের নাম বদল একটি সাংবিধানিক সিদ্ধান্ত। সেই সিদ্ধান্ত নিতে গেলে আরও কতগুলি বিষয়কে মাথায় রাখতে হয়। প্রশ্ন হল, কী সেই বিষয়? কী ভাবে সেই প্রক্রিয়াকরণ শুরু করা যায়? কেন রাজ্যের ভাবাবেগকে গুরুত্ব দিচ্ছে না কেন্দ্র? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে বাঙালিকে কি পথেই নামতে হবে, সময় বলবে।