সংক্ষিপ্ত
নদিয়ার এই পথ দুর্ঘটনা নিয়ে মোট দুটি টুইট করেছেন শুভেন্দু। একটিতে এই ঘটনার জন্য শোকবার্তা জ্ঞাপন করেছেন। আর অন্য টুইটে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করেছেন তিনি।
নদিয়ার হাঁসখালিতে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় (Nadia Hanskhali Road Accident) ১৮ জনের মৃত্যু (Death) হয়েছে। তবে রাজ্যে পথ দুর্ঘটনা (Road Accident) কোনও নতুন বিষয় নয়। মাঝে মধ্যেই রাজ্যে দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। কখনও তার জন্য দায়ি থাকে গাড়ির চালক (Driver), কখনও বা আবার রাস্তার বেহাল অবস্থা। আর এগুলির জেরে শুধুমাত্র বিপদের কবলে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। নদিয়ার এই পর দুর্ঘটনা এই বিষয়টিকেই আরও একবার সত্যি প্রমাণ করে দিল। এই দুর্ঘটনায় ১৮ জনের মৃত্যু হলেও প্রায় ১৭ জন গুরুতর জখম হয়েছেন। আর টুইট করে এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah), রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। এমনকী, টুইট করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। এবার সেই ঘটনায় টুইট করে সরাসরি রাজ্য সরকারকে নিশানা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পাশাপাশি, তোলাবাজির অভিযোগও তুলেছেন তিনি।
নদিয়ার এই পথ দুর্ঘটনা নিয়ে মোট দুটি টুইট করেছেন শুভেন্দু। একটিতে এই ঘটনার জন্য শোকবার্তা জ্ঞাপন করেছেন। সেখানে লিখেছেন, “নদিয়ার সড়ক দুর্ঘটনায় আমি গভীরভাবে শোকাহত। ওই ১৮ জন মৃতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। পাশাপাশি, আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। যেহেতু রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী নির্বাচনে ব্যস্ত তাই প্রশ্ন ওঠে:”
আরও পড়ুন- 'দুঃখজনক', নদিয়ার দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ ধনখড়-শাহ-শুভেন্দুর, 'পাশে থাকা'-র আশ্বাস মমতার
এরপর আরও একটি টুইটে তিনি লেখেন, “আর কতগুলি দুর্ঘটনা ঘটলে মুখ্য়মন্ত্রীর চোখ খুলবে! তিনি বুঝতে পারবেন যে, পশ্চিমবঙ্গের ট্রাফিক বিভাগে যোগ্য কর্মীর অভাব রয়েছে এবং প্রশিক্ষণহীন সিভিক পুলিশে ভর্তি, যাঁদের প্রাথমিক কাজ কেবল রাস্তা থেকে গাড়ি গেলে টাকা তোলা।”
বিজেপি বিধায়কের এই টুইট নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। যদিও এই অভিযোগ একেবারেই নতুন নয়। আর পুলিশের টাকা তোলার হাত থেকে বাঁচতে গিয়ে অনেক গাড়িই দ্রুত চালিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। এর ফলেও অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। যদিও, রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। পাশাপাশি, ওই গাড়ির চালক মদ্যপ অবস্থায় ছিল বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। তার জেরেই এই দুর্ঘটনা।
উল্লেখ্য, নদিয়ার হাঁসখালিতে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ১৮ জনের। একটি শববাহী গাড়ির সঙ্গে লরির মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই ১৮ জনের মৃত্যু হয়। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। জখম হন ৫ জন। তাঁদের মধ্য়ে অনেকেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক। মৃতের সংখ্যা আৎও বাড়তে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগণার বাগদা থানা এলাকা থেকে একটি মৃতদেহ নিয়ে নবদ্বীপ শ্মশানের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় একটি শববাহী গাড়ি। রাত ১২ টা নাগাদ নদিয়ার হাঁশখালি থানার ফুলবাড়ি এলাকা দিয়ে ওই শববাহী গাড়িটে মৃত দেহ নিয়ে আসছিল, ঠিক ওই সময়তেই একটি পাথর বোঝাই লরি দাঁড়িয়েছিল। আচমকা দাঁড়িয়ে থাকা লরিটিকে সজোরে ধাক্কা মারে শববাহী ম্যাটাডোর। এর জেরে গাড়ি থেকে ছিটকে পড়েন একাধিক যাত্রী। শববাহী গাড়িতে প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ জন ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে খবর পাওয়া গিয়েছে। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারিয়েছেন ১৭ জন। পরে হাসপাতালে আরও একজনের মৃত্য়ু হয়।