সংক্ষিপ্ত

অনির্দিষ্টকালের জন্য ডাকা ট্যাঙ্কার ধর্মঘট তিনদিনের মাথায় উঠল। শনিবার ধর্মঘট তুলে নিল ট্যাঙ্কার মালিক সংগঠনগুলি। 

অবশেষে তিনদিন পর কাটল জট। উঠে গেল তেল ট্যাঙ্কার ধর্মঘট। দাবি পূরণ না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট চলবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্যাঙ্কার অ্যাসোসিয়েশন। কিন্তু, ইন্ডিয়ান অয়েলের (আইওসি) আশ্বাস পেয়ে অবশেষে উঠল ধর্মঘট।      

 

অ্যাসোসিয়েশনের তরফে বলা হয়েছে, "অনির্দিষ্টকালের জন্য হওয়া ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হল। টেন্ডার নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল, সেই বিষয়ে ইন্ডিয়ান অয়েল কর্তৃপক্ষ আমাদের সঙ্গে আলোচনা করবে। আলোচনা করার পর পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করা হবে। সেই কারণে আমরা আমাদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিচ্ছি।"

ওয়েস্টবেঙ্গল ট্যাঙ্কার অ্যাসোসিয়েশনের অভিযোগ ছিল, ৪ অগাস্ট ইন্ডিয়ান অয়েলের তরফে নতুন টেন্ডার ডাকা হয়েছিল। সেই টেন্ডারে ট্রান্সপোর্ট রেট অস্বাভাবিক হারে কমিয়ে দেওয়া হয়। লোকাল ভাড়া ২৮০০ থেকে এক ধাপে কমিয়ে ২১০০ টাকা করা হয়। এছাড়া ৬০টি চুক্তিবদ্ধ ট্যাঙ্কারকে বসিয়ে দেওয়া হয়। তারই প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটে সামিল হয়েছিল তারা। শুক্রবার এই পরিস্থিতি সামাল দিতে মৌরিগ্রামে ইন্ডিয়ান অয়েল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ট্যাঙ্কার মালিকদের বৈঠক হয়। কিন্তু সেই বৈঠক থেকে কোনও সমাধান সূত্র বের হয়নি।

আরও পড়ুন, Tripura: 'আহা রে, ছেলেগুলির কত কষ্ট হল', ত্রিপুরায় বাইকবাহিনীর ভিডিও ফাঁস করে কটাক্ষ কুণালের

আরও পড়ুন- 'ত্রিপুরাতে নাটক করতে যাচ্ছেন TMC নেতারা', ঘাটালে গিয়ে বন্যা ইস্যুতেও বিস্ফোরক দিলীপ

এরপর শনিবার ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্যাঙ্কার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে আইওসিকে জানানো হয়, ৬০টি চুক্তিবদ্ধ তেলবাহী ট্যাঙ্কারকে বসিয়ে দেওয়ার ফলে তারা সমস্যায় পড়েছে। এছাড়া ভাড়া কমিয়ে দেওয়ায় ফলেও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাদের। সেই কারণে তারা আন্দোলনের পথে হেঁটেছে। দাবি মানা না হলে আন্দোলন চলতেই থাকবে। 

যদিও আইওসি কর্তৃপক্ষ বিষয়টি বিবেচনা করে সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দেয়। টেন্ডারের বিষয়ে আগামদিনে আলোচনা করা হবে বলে লিখিত আশ্বাস দিয়েছে আইওসি। সেই আশ্বাস পাওয়ার পর অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা জানান, আপাতত ধর্মঘট স্থগিত রাখা হয়েছে। 

'আরও পড়ুন, Tripura: 'যা পারেন করুন', বিপ্লবকে চ্যালেঞ্জ, আক্রান্তদের পাশে দাঁড়াতে আজ ত্রিপুরায় অভিষেক

এদিকে এই ধর্মঘটের জেরে ১৯৬টি গাড়ি সম্পূর্ণ বসে গিয়েছিল। ইন্ডিয়ান অয়েলের পাশাপাশি সব ইউনিয়নই এই প্রতিবাদে সামিল হয়। এর ফলে সমস্যায় পড়েছিলেন সাধারণ মানুষ। ৫ অগাস্ট থেকে নতুন করে তেলের ট্যাঙ্কার না বের হওয়ার ফলে তেলশূন্য হতে শুরু করে একাধিক পেট্রোলপাম্প। ৬টি জেলায় ৫০০টি ইন্ডিয়ান অয়েলের পেট্রোল পাম্পের মধ্যে প্রায় ২৫০টি পাম্প তেলশূন্য হয়ে পড়ে। কলকাতাতেও এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছিল। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের একাধিক জেলায় তেলের সঙ্কট তৈরি হওয়ার আশঙ্কা করেছিলেন পাম্প মালিকরা। তবে আইওসি-র আশ্বাস পেয়ে অবশেষে উঠল সেই ধর্মঘট। 

YouTube video player