সংক্ষিপ্ত

  • রবিবার থেকে বাড়ছে তাপমাত্রা
  • পাল্লা দিয়ে বেড়েছে আদ্রতা
  • আপাতত ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই রাজ্যে
  • ফণীর প্রভাবেই শুষ্ক বায়ুমণ্ডল, দাবি আবহবিদদের

ফণীর প্রভাবে দু' দিনেরর জন্য হলেও তীব্র গরমের হাত থেকে মুক্তিফের পেয়েছিলেন রাজ্যবাসী। কিন্তু ফণীর প্রভাব কাটতেই ফের ঊর্ধ্বমুখী পারদ. আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আপাতত আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তাপমাত্রা কমার কোনও সম্ভাবনা নেই।

শনিবারের পর থেইে এ রাজ্যের আকাশ পরিষ্কার হতে শুরু করেছে। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে তাপমাত্রা এবং আদ্রতা। ফণী বাংলাদেশে চলে যাওয়ার পরে রবিবারই গরমে হাসফাঁস করতে শুরু করেছেন কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বাসিন্দারা। আবহবিদরা বলছেন, ঘূর্ণিঝড় ফণী বায়ুমণ্ডলের যাবতীয় জলীয় বাষ্প শুষে নিয়েছে, ফলে নতুন করে বাতাসে জলীয় বাষ্প তৈরি হতে সময় লাগবে।  ফলে নতুন করে এখনই ঝড়বৃষ্টির পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা কম।

গত শুক্রবার ফণীর প্রভাবে কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে পাঁচ ডিগ্রি নীচে নেমে হয়েছিল ৩০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রবিবারই তা ফের ৩৮ ডিগ্রির আশপাশে পৌঁছে গিয়েছে। আগামী কয়েকদিনে তা আরও বাড়বে. একধাক্কায় আদ্রতাও অনেকটা বেড়ে গিয়েছে।

২০০৯ সালে আয়লার সময়েও অনেকটা একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। সেবার আয়লার জেরে বর্ষার আগমনও পিছিয়ে গিয়েছিলল। এ বছর অবশ্য সেরকম সম্ভাবনা নেই বলেই মত আবহবিদদের।
 
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা জি কে দাস বলেন, "আপাতত আবহাওয়া শুকনোই থাকবে. কিন্তু বর্ষা আসতে এখনও চার সপ্তাহ দেরি আছে। ততদিনে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ স্বাভাবিক হয়ে যাবে। কিন্তু এখন প্রবল গরম সত্ত্বেও পর্যাপ্ত জলীয় বাষ্পের অভাবে মেঘ তৈরি হবে না।"