সংক্ষিপ্ত
দেখা যাচ্ছে অধিকাংশ আই সি ডি এস কেন্দ্রগুলি খোলা আকাশের নিচে, কোথাও বা ক্লাব ঘরের নিচে, আবার কোথাও ক্লাব ঘর ভাড়া নিয়ে চালাতে হচ্ছে এই সমস্ত শিশু শিক্ষা কেন্দ্রগুলি।
জেলায় জেলায় শিশু শিক্ষা কেন্দ্রগুলির বেহাল দশা। একদিকে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন, অন্যদিকে পরিকাঠামো শিকেয়। সবমিলিয়ে ত্রাহি ত্রাহি রব। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় শিক্ষার পরিকাঠামো নিয়েও একের পর এক প্রশ্ন চিহ্ন উঠে আসছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে অধিকাংশ আই সি ডি এস কেন্দ্রগুলি খোলা আকাশের নিচে, কোথাও বা ক্লাব ঘরের নিচে, আবার কোথাও ক্লাব ঘর ভাড়া নিয়ে চালাতে হচ্ছে এই সমস্ত শিশু শিক্ষা কেন্দ্রগুলি।
সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে বাচ্চাদের নিরাপত্তা নিয়ে একটি প্রশ্ন চিহ্ন দাঁড়িয়ে যাচ্ছে যেখানে দেখা যাচ্ছে শনিবার নন্দীগ্রাম এক ব্লকে সাউথ খণ্ড জলপাই আইসিডিএস কেন্দ্রে ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে। সেই দুর্ঘটনায় রীতিমত আতঙ্কিত শিশুদের অভিভাবকরা। শনিবার একটি ছোট্ট বাচ্চা খেলতে খেলতে গরম ভাতের ফেনার উপর পড়ে যায় এবং তার শরীরের অধিকাংশ পুড়ে গেছে বলে জানা গেছে। তড়িঘড়ি তাকে নন্দীগ্রাম এক ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
অভিভাবকের কথায় স্কুলের নজরদারি কোনও জায়গা নেই। বাচ্চাদের খেয়াল রাখার মত কেউই নেই এই শিশু শিক্ষা কেন্দ্রগুলিতে। তাই বারবার কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হচ্ছে এই কেন্দ্রগুলিকে। সেই সঙ্গে এই ধরণের গাফিলতির ঘটনা ঘটছে। যদিও বা ব্লক আধিকারিক আইসিডিএস এর কর্মীদের নিয়ে বৈঠকে বসেন সেইসঙ্গে তাদের নিরাপত্তা নিয়েও বিভিন্নভাবে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে যাই হোক না কেন এই সমস্ত বাচ্চাদের কোথাও কোথাও দেখা যাচ্ছে খোলা আকাশের নিচে আবার বৃষ্টির দিনে খোলা ছাদের নিচে আবার কোথাও ভাড়া নিয়ে বাচ্চাদেরকে পড়ানো হচ্ছে।
এমনকী কোথাও দেখা যাচ্ছে ছাত্র সংখ্যা বেশি থাকলেও শিক্ষক সংখ্যা অনেকটাই কম। ফলে পড়াশুনোর মান কোথায় গিয়ে দাঁড়াচ্ছে, তা নিয়ে চিন্তায় অভিভাবকরা। আবার কোথাও শিক্ষকের দেখা মিললেও আইসিডিএস কেন্দ্রগুলিতে ছাত্র নেই বললেই চলে। তবে প্রশ্ন যাই থাকুক না কেন, জেলায় জেলায় শিশু শিক্ষা কেন্দ্রগুলিতে বাচ্চাদের নিরাপত্তা নিয়ে রীতিমত উদ্বেগে বাড়ির লোকেরা।
অনেকেই পাঠাতে চাইছেন না স্কুলগুলিতে। ফলে ভবিষ্যত নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ। আইসিডিএস সেন্টারগুলি ঘিরে বাড়ছে হতাশা। যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে এই সেন্টারগুলি চালু হয়েছিল, তার সফলতা নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। জেলা প্রশাসন কবে এই বিষয়গুলিতে নজর দেবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ ছাড়া যে এখানে পরিস্থিতি শুধরোবার নয়, তা বলা বাহুল্য।