সংক্ষিপ্ত

তখন আইএনটিইউসি রাজ্য সভাপতি সুব্রত মুখোপাধ্যায়। মিল খুলতে তাকে রাইরার্স বিল্ডিংয়ে ডেকে পাঠান তৎকালীন শিল্প মন্ত্রী নিরুপম সেন। 

প্রয়াত হয়েছেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়(Subrata Mukherjee)। একের পর এক অবদানের (Bengal Politics) নজির রেখেছিলেন এই নেতা। কংগ্রেসের ট্রেড ইউনিয়ন (Congress Trade Union) নেতা থাকাকালীন শিল্প নগরী হাওড়ার কল কারখানা(Howrah Factory) বাঁচাতে তার অবদান ছিল অনস্বীকার্য। বাম আমলে বন্ধ হয়ে যাওয়া ভারত জুট মিল খুলেছিল তারই উদ্যোগে।
 সময়টা ছিল ২০০৬ সাল। হাওড়ার দাসনগরে রুগ্ন হয়ে পড়া ভারত জুট মিল বিক্রি করে দেয় রাজ্য সরকার। মিলের ৭৪ শতাংশ শেয়ার একটি বেসরকারি সংস্থাকে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল মাত্র চার কোটি টাকায়। 

রাজ্য সরকারের মিল বেসরকারিকরনের এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেনি মিলের ডান বাম সমস্ত শ্রমিক সংগঠন গুলো। শুরু হয় শ্রমিক বিক্ষোভ। ভাঙচুর করা হয় মিল। এরপরই বন্ধ হয়ে যায় দাসনগরের ভারত জুট মিল। অনিশ্চিত হয়ে পড়ে প্রায় এগারোশো শ্রমিকের ভবিষ্যত। তখন আইএনটিইউসি রাজ্য সভাপতি সুব্রত মুখোপাধ্যায়। মিল খুলতে তাকে রাইরার্স বিল্ডিংয়ে ডেকে পাঠান তৎকালীন শিল্প মন্ত্রী নিরুপম সেন। মিল খুলতে সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে উদ্যোগ নিতে বলেন নিরুপম সেন। 

হাওড়া কংগ্রেসের প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিভাস হাজরা বলেন তাকে সঙ্গে নিয়ে রাইটার্স বিল্ডিংয়ে গিয়েছিলেন সুব্রত দা। নিরুপম সেনকে সুব্রত দা বলেছিলেন মিলের পঞ্চাশ শতাংশ শ্রমিককে স্থায়ী করতে হবে তবেই তিনি চেষ্টা করবেন। এরপর সেদিনই আলোচনার মাধ্যমে স্থির হয় পঁচিশ শতাংশ শ্রমিককে স্থায়ী ভাবে নেওয়া হবে। পরের দিন মিল গেটে মিটিং করে  শ্রমিকদের সাথে কথা বলে মিল চালু করা হয়। খুশির হওয়া ছড়িয়ে পড়ে শ্রমিক মহলে। 

ভারত জুট মিলের এক শ্রমিক নারায়ণ সোয়াই বলেন তাদের মিল খুলতে সেদিন সুব্রত মুখোপাধ্যায় যে উদ্যোগ নিয়েছিলেন, তাঁর সেই অবদান কোনওদিন ভোলা যাবে না। শুধু এই মিল নয়, কংগ্রেসের ট্রেড ইউনিয়ন রাজ্য সভাপতি থাকাকালীন শিল্প নগরীর বহু বন্ধ কারখানা খোলার উদ্যোগ নিয়েছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। বিশেষ করে হাওড়ার ফাউন্ড্রি শিল্প বাঁচাতে বিশেষ ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি। সুব্রত মুখোপাধ্যায় মনে করতেন কারখানা বন্ধ করে নয়, খোলা রেখেই সমস্যার সমাধান করা উচিত।

রাজনীতির কানাগলি থেকে রাজপথ- অবাধে বিচরণ ছিল সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের। কিন্তু তিনি পরিবারের প্রথম সদস্য যিনি রাজনীতির খাতায় নাম লিখিয়েছিলেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজের সারেঙ্গাবাদে বাড়ি। বাবা ছিলেন স্কুল শিক্ষক। ৬এর দশকে কলকাতায় পড়তে এসেই রাজনৈতিক জীবনে হাতেখড়ি। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে আলাপ প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির সঙ্গে। সেখান থেকেই ঘনিষ্ঠতা। 

Weather forecast- কলকাতায় শীতের আমেজ, বইতে শুরু করেছে উত্তুরে হাওয়া

Global Warming-২০৩০ সালের মধ্যে জলের তলায় ডুববে কলকাতা, তালিকায় বড় বড় শহরের নামও

Pakistan Airspace- আকাশপথ ব্যবহারে না, পাকিস্তানকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি ভারতের

যদিও প্রিয় তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ চুকিয়ে ফেলেছেন। কিন্তু বাংলার রাজনীতিতে প্রিয়র ডান হাত হয়ে ওঠেন সুব্রত। বজবজ থেকে দক্ষিণ কলকাতার বর্ধিষ্ণু অঞ্চল বালিগঞ্জের বাসিন্দা- অনেকটা রূপকথার গল্পের মতই ছিল তাঁর জীবন। সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায় মন্ত্রিসভা তথা রাজ্যের সর্বকনিষ্ঠ মন্ত্রী। সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায়ের আমলে তিনি একাধিক গুরুদায়িত্ব সামলেছেন। তবে শুধুই উত্থান নয় পতনও দেখেছেন তিনি।