সংক্ষিপ্ত

কৌশিকী অমাবস্যা তারাপীঠে একটি বিশেষ দিন। বছরের এই দিনের জন্য বহু মানুষ অপেক্ষা করে থাকেন।

দফায় দফায় বৈঠক, প্রচার করেও কৌশিকী অমাবস্যায় (Kaushiki amavashya) পুণ্যার্থীদের আগমন আটকাতে পারল না প্রশাসন। বিশেষ করে বিহার, ঝাড়খণ্ড থেকে হাজার হাজার পুণ্যার্থী তারাপীঠে (Tarapith temple) পুজো দিতে এসে একরাশ অভিমান নিয়ে ফিরে যান।

কৌশিকী অমাবস্যা তারাপীঠে একটি বিশেষ দিন। বছরের এই দিনের জন্য বহু মানুষ অপেক্ষা করে থাকেন। এই দিনে মা তারার পুজো দিলে পুণ্যলাভ হয় বলে বিশ্বাস। সেই বিশেষ থেকেই প্রতি বছর দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ ছুটে আসেন তারাপীঠে। কিন্তু করোনা অতিমারির কারণে গত বছর থেকে এই বিশেষ দিনে তারাপীঠে পুণ্যার্থীদের প্রবেশের উপর নিষেধজ্ঞা জারি করে প্রশাসন। 

সোমবার থেকে শুরু হয়েছে সেই কৌশিকী অমাবস্যা। থাকছে মঙ্গলবার পর্যন্ত। তাই ৩রা সেপ্টেম্বর থেকে ৮ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুণ্যার্থীদের প্রবেশের উপর আগেই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল প্রশাসন। বিহার ও ঝাড়খণ্ডের মানুষের কাছে সেই বার্তা পৌঁছে দিতে সীমান্তের রাজ্যের প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করে বীরভূম জেলা প্রশাসন। সেই মতো রবিবার বিকেল থেকে তারাপীঠ ঢোকার সমস্ত রাস্তার মুখে চেক গেট করেছে পুলিশ। 

সমস্ত গাড়ি, মোটরবাইক আরোহীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কথাবার্তা সন্তোষজনক হলে তবে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে তারাপীঠের সমস্ত লজ। ফলে চাপ বাড়ছে রামপুরহাটের। হিন্দিভাষী ওই দুই রাজ্যে প্রচারের অভাবে হাজার হাজার মানুষ মায়ের দর্শন না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরছেন। সেই সঙ্গে উগড়ে দিয়ে যাচ্ছেন ক্ষোভ। 

ঝাড়খণ্ডের ধানবাদের বাসিন্দা মনোজ কুমার, লীনা প্রিয়া, বিহারের মুঙ্গেরের রাকেশ কুমার গুপ্তা বলেন, "প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের কোনভাবে জানানো হয়নি। এমনকি দুই রাজ্যের সীমানাতেও কেউ আটকায়নি। বিনাবাধায় আমরা রামপুরহাট পৌঁছে গিয়েছি"। তাদের আক্ষেপ, রাজ্যে ভোট হলে করোনা হয় না। আর পুণ্যস্থান খোলা থাকলেই করোনা চেপে ধরে! আজব বাংলা।

এদিকে সোমবার সকালে মা তারার মঙ্গলারতি পর শীতলভোগ দেওয়া হয়। তিথি নক্ষত্র মেনে সকাল ৭ টা ৭ মিনিটে শুরু হয় অমাবস্যার পুজো। মন্দির কমিটির সম্পাদক ধ্রুব চট্টোপাধ্যায় বলেন, "আমরা প্রশাসনের নির্দেশ মেনে পুণ্যার্থীদের প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছি। ভক্তরা যাতে বাড়িতে বসে মায়ের পুজো দেখতে পান তার জন্য সংবাদমাধ্যমের প্রবেশ অবাধ করা হয়েছে। এছাড়া মন্দির চত্বরে জায়েন স্ক্রিন বসানো হয়েছে। সেখান থেকেই সেবাইতরা অনলাইনে মাধ্যমে তাদের যাত্রীদের মায়ের দর্শন করাবেন"।