সংক্ষিপ্ত

বড় আকারের সাংগঠনিক রদবদল হল তৃণমূল কংগ্রেসের। অনেক জায়গাতেই সরিয়ে দেওয়া হল তৃণমূল কংগ্রেসের পুরনো নেতাদের। পরিবর্তে সেইসব জায়গান নতুন মুখদের আনা হয়েছে। 

বড় আকারের সাংগঠনিক রদবদল হল তৃণমূল কংগ্রেসের। অনেক জায়গাতেই সরিয়ে দেওয়া হল তৃণমূল কংগ্রেসের পুরনো নেতাদের। পরিবর্তে সেইসব জায়গান নতুন মুখদের আনা হয়েছে। বিরোধীদের কটাক্ষ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ড্যামেজ কন্ট্রোল করতেই নাকি এই পদক্ষেপ। যদিও তা মানতে নারাজ ঘাসফুল শিবির। দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে গত মে মাসেই দলের সাংগঠনিক ক্ষেত্রে রদবদল করার  বিষেয় আলোচনা হয়েছিল। বৈঠক উপস্থিত ছিলেন দলনেত্রী। সেইমতই এই রদবদল। 

যদিও দেখা যাচ্ছে পুরনোদের অনেককেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারমধ্যেই বীরভূমের বিতর্কিত তৃণমূল নেতা অনুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে সরানো হয়নি। বাগটুইকাণ্ডের পরেও বীরভূমের জেলাসভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তবে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বারাসত সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অশনি মুখোপাধ্যায়কে। তাঁর জায়গায় দলের সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কাকলি ঘোষদস্তিদারকে। তৃণমূল সূত্রের খবর অশনি পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিত। মুর্শিদাবাদ ও বহরমপুর জেলা সংগঠনকে জুড়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শাঁওনি সিংহ রায়কে। জঙ্গিপুরের সাংগঠনিক জেলার দায়িত্বে রেখে দেওয়া হয়েছে খালিলুর রহমানকে। 

দার্জিলিং এ তৃণমূল কংগ্রেস সংগঠনে জোর দিচ্ছে। কারণ দার্জিলিংকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। পাহাড়ের নেত্রী করা হয়েছে রাজ্যসভার সাংসদ শান্তা ছেত্রীকে। সমতলের দায়িত্ব দেওয়া গয়েছে পাপিয়া ঘোষকে। পাপিয়া তৃণমূলের প্রাক্তন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের মেয়ে। জলপাইগুড়ির সভাপতি মহুয়া গোপ। দক্ষিণ দিনাজপুরের সভাপতি কানাইলাল আগরওয়াল।

দমদমের সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছা পার্থ ভৌমিককে। নবান্নের গুঞ্জন পার্থ ভৌমিককে মন্ত্রী করা হবে। দমদমের সভাপতির নাম ঘোষণা করা হয়নি। অন্যদিকে শ্রীরামপুর থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে স্নেহাশিস চক্রবর্তীকে। দায়িত্বে দেওয়া হয়েছে অরিন্দম গুঁইকে। কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নানকে হারিয়েছিলেন তিনি। অন্যদিকে চেয়ারম্যান হয়েছেন ধনেখালির বিধায়ক অসীমা পাত্র। আরামবাদের দায়িত্ব রমেন্দু সিংহ রায়ের ওপর। চেয়ারম্যান জয়দেব জানা।

কোচবিরারে তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব মেটাতে সরিয়ে দেওয়া হল পার্থ প্রতীম রায়কে। দায়িত্ব পেয়েছেন অভিজিৎ দে ভৌমিক। উদয়ন গুহ বা রবীন্দ্রনাথ ঘোষ কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। সুন্দরবনের দায়িত্বে পেলেন মন্দিরবাজারের বিধায়ক জয়দেব হালদার। সরিয়ে দেওয়া হল যোগরঞ্জন হালদারকে। 

বিশেষ নজর দেওয়া পূর্ব মেদিনীপুরে। জেলা সভাপতি পদে ফেরান হয়েছে সৌমেন মহাপাত্রকে। কাঁথির দায়িত্বে এগরাপ বিধায়ক তরুণ মাইতির ওপর। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের কো অর্ডিনেটর ছিলেন পিংলার বিধায়ক অজিত মাইতি। একটা সময় তিনি অবিভক্ত মেদিনীপুরের দায়িত্বে ছিলেন। অন্যদিকে ঝাড়গ্রামের সভাপতি দুলাল মুর্মু। আর চেয়ারম্যান করা হয়েছে বীরবাহা সোরেনকে। 

কলকাতা উত্তর ও দক্ষিণের দায়িত্ব থেকে সরান হয়নি সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায় আর দেবাশিস কুমারকে। বীরভূমের জেলা সভাপতি যেমন অনুব্রত তেমনই চেয়ারম্যান আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। 

ED-র নজরে পার্থ-অর্পিতার অঢেল সম্পত্তি, রইল তার লম্বা তালিকা

আইনি প্যাঁচে মনিবহারা পার্থর সাধের সারমেয়রা, একাকী ফ্ল্যাটে কেমন আছে তারা? খোঁজ নিল কলকাতা পুলিশ

Breaking News: হাসপাতালে বিধ্বংসী আগুন, প্রাণ গেল পাঁচ রোগীসহ ৮ জনের