সংক্ষিপ্ত
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর থেকেই ডায়মন্ড সিটির ফ্ল্যাটে কার্যত বন্দি দশায় দিন কাটছে পার্থর শখের সারমেয়দের। বিষয়টি পুলিশের কানে পৌঁছলে পোষ্যদের খোঁজ নিতে অর্পিতার ফ্ল্যাটে পৌঁছয় পুলিশ। কেমন আছে কুকুরগুলি? কেই বা খাবার দিচ্ছে তাদের। কী জানাচ্ছে পুলিশ? জানুন বিস্তারিত...
গত ৯ দিন ধরে ইডির হেফাজতে প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তৃণমূলের অপসারিত মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। মনিবের অবর্তমানে চরম বিপাকে পার্থর সাধের পোষ্যরা। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর থেকেই পোষ্যদের দেখাশোনা করার লোক আসছে না বলে অভিযোগ। ফলে ডায়মন্ড সিটির ফ্ল্যাটে কার্যত জল-খাবার ছাড়াই দিন কাটছিল আটটি সারমেয়র। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তৎপর হয়ে ওঠে একাধিক পশুপ্রেমী সংগঠন। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগের প্রেক্ষিতেই ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে ওই আবাসনে উপস্থিত হয় পুলিশ। সারমেয়দের অবস্থা খতিয়ে দেখার পাশাপাশি সমগ্র ঘটনা পরে লালবাজারের শীর্ষকর্তাদেরও জানানো হয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
পার্থর গ্রফতারির খবর মেলার পর দুদিন আবাসনে দেখা মেলেনি দুই প্রশিক্ষক ও কুকুরগুলির দেখাশোনা করার জন্য রাখা সর্বক্ষণের লোকের। এমনটাই জানান আবাসনে উপস্থিত এক ব্যক্তি। পরে অবশ্য তাঁরা নিজেরাই ফিরে আসেন বলে জানান ওই ব্যক্তি। সারমেয়দের দেখাশোনা করার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তির সঙ্গেও এদিন কথা বলে পুলিশ। তিনি জানিয়েছেন প্রথম দুদিন দুই প্রশিক্ষক ভয় না আসার কথা জানালেও পরে সারমেয়দের টানে নিজেরাই ফিরে আসেন।
বিভিন্ন পশুপ্রেমী সংস্থার তৎপরতায় বিষয়টি ঘিরে রিতিমত শোরগোল পড়ে যায়। এরপর পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে রবিবার হরিদেবপুর থানার ওসি নিজে ওই আবাসনে যান। পুলিশ সূত্রে জানা যায় ওই আবাসনে পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামে মোট ৩ টি ফ্ল্যাট আছে, ২ নম্বর টাওয়ারের ১ এ এবং ১৮ডি ও ১৮ই। এরমধ্যে ১৮ ডি-১৮ ই ফ্ল্যাট দুটি কে একসঙ্গে জুড়ে রাখা হত কুকুরগুলিকে। এইখানে রয়েছে মোট আটটি সারমেয়। এরমধ্যে দু’টি ল্যাব্রাডর, একটি পাগ, একটি ফ্রেঞ্চ বুলডগ, একটি করে ইংলিশ বুলডগ, রটওয়াইলার, গোল্ডেন রিট্রিভার ও বিগেল।
এদের দেখাশোনা করার জন্য ছিল একজন সর্বক্ষণের লোক এবং দুজন প্রশিক্ষক। দুটি ফ্ল্যাট এবং ছাদ মিলিয়ে রাখা হত কুকুরগুলিকে। প্রাক্তন মন্ত্রীর গ্রেফতারির পর চরম দুর্ভোগে দিন কাটে অবলা প্রাণীগুলির। প্রথম দিকে কুকুর গুলির জন্য দুদিন খাবার আসত ওই ফ্ল্যাটে। পরে অবশ্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এক আত্মীয় পোষ্যদের খাওয়ানোর দায়িত্ব নেয়।
পশু চিকিৎসক ও পশুপ্রেমীদের মতে এখনও প্রাণীগুলিকে কড়া পর্যবেক্ষণে রাখা উচিত। মনিব ছাড়া তারা কেমন আছে তা দেখা দরকার।
আরও পড়ুনঃ'কোটি কোটি টাকা কার?', ইডি-র লাগাতার জেরায় কী ফাঁস করলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়
আরও পড়ুনঃED-র নজরে পার্থ-অর্পিতার অঢেল সম্পত্তি, রইল তার লম্বা তালিকা