সংক্ষিপ্ত
খরিফ মরশুমে দুই বর্ধমান, হাওড়া, হুগলি ও বাঁকুড়া জেলায় চাষে সেচের জলের কোন সমস্যা হবে না। এই পাঁচ জেলার এক লক্ষ ২৭ হাজার হেক্টর জমি সেচের জল পাবে।
খরিফ মরশুমে দুই বর্ধমান, হাওড়া, হুগলি ও বাঁকুড়া জেলায় চাষে সেচের জলের কোন সমস্যা হবে না। আগামী ২৪ জুলাই থেকে ডিভিসি জলাধার থেকে সেচের জল ছাড়া হবে। চলবে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত। এই পাঁচ জেলার এক লক্ষ ২৭ হাজার হেক্টর জমি সেচের জল পাবে বলে জানিয়েছেন বর্ধমান ডিভিশনের কমিশনার বিজয় ভারতী।
শুক্রবার বর্ধমান সার্কিট হাউসে দুই বর্ধমান, বাঁকুড়া, হাওড়া, হুগলি ও বীরভূম-এই পাঁচ জেলার প্রতিনিধিদের নিয়ে বর্ধমান সার্কিট হাউসে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে বিজয় ভারতী জানান, এবছর ডিভিসি জলাধারে গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি জল সংরক্ষিত রয়েছে। তিনি আরো জানান, ডিভিসি কর্তৃপক্ষ জল ছাড়া সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে একটি অ্যাপ আনতে চলেছে। dvc.gov.in এই অ্যাপে কোন ব্লকে কতটা জল ছাড়া হবে এবং কখন সেই জল পৌঁছবে যাবতীয় তথ্য পাওয়া যাবে।
গত খরিফ মরসুমে এই পাঁচ জেলার বেশ কয়েকটি সেচ খালগুলিতে জল কম দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু বর্ষা ভালো হওয়ায় এবছর ডিভিসির জলাধারে গতবারের তুলনায় অনেক বেশি জল রিজার্ভ আছে বলে সেই সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছেন বিজয় ভারতী। এই পাঁচ জেলার এক লক্ষ সাতাশ হাজার হেক্টর জমির জন্য জল দেওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি সেখ মেহবুব রহমান।
পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা জানান, এই জল ছাড়ার ফলে খরিফ মরশুমে এই পাঁচ জেলায় দামোদর নদ তীরবর্তী অঞ্চলগুলিতে চাষের জলের কোনো সমস্যা এবছর হবে না। এছাড়াও এই বৈঠকে বিভিন্ন সেচ খালের ড্রেজিংজনিত সমস্যা ও তার প্রতিকারের উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে।