সংক্ষিপ্ত

সাংবাদিকদের তরফে রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার সুমিত কুমার সহ জেলা এবং রাজ্য পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়। খবর পেয়ে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ প্রেস ক্লাবে পৌঁছায়। 

কৌশিক সেন: সাত সকালে আতঙ্ক সৃষ্টি হল উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে। জঙ্গি গোষ্ঠী হিজবুল মুজাহিদিনের নাম করে আজ সকালে হুমকি দেওয়া একটি সিডি পড়ে থাকতে দেখা যায় উত্তর দিনাজপুর প্রেস ক্লাবে। এরপর সাংবাদিকদের তরফে রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার সুমিত কুমার সহ জেলা এবং রাজ্য পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়। খবর পেয়ে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ প্রেস ক্লাবে পৌঁছায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করে করেছে পুলিশ। 

আরও পড়ুন- 'কর্ম করো-ফলের ব্যাপারে ভেবো না', রাজ্যপালের দিল্লি সফর ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে

সকালে সাংবাদিকরা প্রেস ক্লাবে এসে বারান্দায় একটি  সিডি পড়ে থাকতে দেখেন। সিডিটি প্লাষ্টিক কাগজে মোড়া ছিল। তাতে লেখা ছিল, "এটি পাওয়া মাত্রই সব চ্যানেলে দেখাতে হবে। নইলে হিংসার শিকার হবে।" সিডিটি চালিয়ে দেখা যায় তৌসিব আলি নামে এক ব্যক্তি বক্তব্য রাখছে। 

দেখা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি জঙ্গিদের মতো পোশাক পরে বক্তব্য রাখছে। যদিও তার মুখ দেখা যায়নি। সেই ভিডিওতে (ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি এশিয়ানেট নিউজ বাংলা) রাজ্য সরকারকে হুমকি দিয়েছে সে। জানিয়েছেন, রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগের তালিকায় তার ছয়জন আত্মীয় রয়েছেন। এরা চাকরি না পেয়ে আত্মহত্যার কথা ভাবছে, অবিলম্বে এদের নিয়োগ না করা হলে ১৩ হাজার প্রার্থীকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে সে। তবে শুধু চাকরি প্রার্থীকেই নয় কমিশনের আধিকারিক, একাধিক নেতাকেও খুন করার হুমকি দেওয়া হয়েছে। আর দুর্গাপুজোর আগেই সেই হত্যালীলা চালানো হবে বলে জানিয়েছে। পাশাপাশি এই বিষয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করতে বলেছে ওই ব্যক্তি।  

আরও পড়ুন- জানেন কি, জনধন অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার লিঙ্ক না করলেই খোয়াতে পারেন ২ লক্ষেরও বেশি টাকা

তবে কোনও জঙ্গি সংগঠনের তরফে শিক্ষক নিয়োগের মতো বিষয় নিয়ে হুমকি দেওয়ার বিষয়টি এই প্রথম। কিন্তু, হঠাৎ করে কেন শিক্ষক নিয়োগের মতো বিষয় নিয়ে হুমকি দেওয়া হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পাশাপাশি ওই ব্যক্তি আদৌ হিজবুলের সদস্য নাকি শ্রেফ আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য সে নিজেকে হিজবুলের সদস্য বলে দাবি করেছে তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। এছাড়া কীভাবে ওই সিডি রায়গঞ্জের প্রেস ক্লাবে পৌঁছে দেওয়া হল তা নিয়েও ধোঁয়াশায় রয়েছেন তাঁরা। 

আরও পড়ুন- শনিবার ইতালি থেকে টোকিও যাচ্ছে ভারতীয় বক্সিং দল, দিল্লি থেকে পারি হকি-ব্যাডমিন্টন সহ অন্যান্য়দের

এদিকে কলকাতায় না দিয়ে কেন ওই সিডি রায়গঞ্জের মতো জায়গায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। তবে রায়গঞ্জকে বেছে নেওয়ার পিছনে কয়েকটি যুক্তি দিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের মতে, বিহার, নেপাল ও বাংলাদেশ লাগোয়া হওয়ার কারণেই রায়গঞ্জ দিয়ে যে কোনও জায়গাতে পৌঁছানো অনেকটা সহজ হয়। আর সেই কারণেই হয়তো কলকাতাকে না বেছে রায়গঞ্জ শহরকে বেছে নিয়েছে জঙ্গিরা।