সংক্ষিপ্ত

তিনটি দেহই উদ্ধার করা হয়েছে। রাতেই পাঠান হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। গ্রামবাসীদের অনুমান মহিলা সংক্রান্ত বিবাদকে কেন্দ্র করেই এই নৃশংস হত্যার ঘটনা ঘটেছে।

একই পরিবারের তিন সদস্যের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ক্রমশই রহস্য দানা বাঁধছে নদিয়ার পলাশিপাড়ায়। বাবা মা ও মেয়েকে ধালারো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়। প্রথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, প্রথম ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। তারপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে প্রত্যেকেরই গলার নলি কেটে ফেলা হয়। তবে কী কারণে এই নৃশংস খুন তা নিয়ে রহস্য দানা বাঁধছে। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নদিয়ার পলাশীপাড়া থানার পুলিশ। 

নিহতরা হল ডোমন রাব্জায়ার তাঁর স্ত্রী সুমিত্রা রাব্জায়ার ও তাঁদের বিবাহিত মেয়ে মালা। সোমবার রাত ১১টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে বলেও মনে করছে পুলিশ। তিনটি দেহই উদ্ধার করা হয়েছে। রাতেই পাঠান হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। গ্রামবাসীদের অনুমান মহিলা সংক্রান্ত বিবাদকে কেন্দ্র করেই এই নৃশংস হত্যার ঘটনা ঘটেছে। মেয়ে মালা বিবাহিত হলেও বেশ কয়েক দিন ধরেই বাবামায়ের কাছে এসে থাকছিল। তবে কী কারণে মেয়ে শ্বশুর বাড়ি ফিরে যায়নি তা নিয়ে স্বামী স্ত্রী কোনও কথাও প্রতিবেশীদের জায়াননি। 

তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পুলিশ ধোঁয়াসার মধ্যে রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান পরিচিত কোনও ব্যক্তি রব্জায়ারদের বাড়িতে ঢুকেছিল। সেই ব্যক্তি ও তার সঙ্গীসাথীরা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। তবে সেই ব্যক্তি- কে তা নিয়ে ধোঁয়াসা রয়েছে। ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জেরা করা হচ্ছে নিহতেদের আত্মীয় ও প্রতিবেশীদের। খুনের মোটিভ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারা না গেলে রহস্যের জট ছাড়ানো কঠিন বলেও মনে করছে পুলিশ মহলের একটি অংশ। গোটা বাড়ি সিল করে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে রয়েছে পুলিশের পদস্থ আধিকারিকরা। 

অনেকটা একই ঘটনা ঘটেছিল উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে। একই পরিবারের পাঁচ সদস্যকে খুন  করেছিল কোনও অজ্ঞাত পরিচয় আততায়ী। তবে  সেই ঘটনায় প্রমাণ লোপাটের জন্য নিহত পরিবারের সদস্যদের পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দারা বাড়িটি থেকে আগুন ও ধোঁয়া বার হতে দেখে। খবর দেয় পুলিশে। তারাই উদ্ধার করে মৃতদেহগুলি। সেই ঘটনার তদন্তও করছে প্রয়াগরাজ থানার পুলিশ। তবে কী কারণে খুন তা এখনও পর্যন্ত স্পস্ট নয় উত্তর প্রদেশ প্রশাসনের কাছে। তবে নদিয়া পলাশীপাড়ায় এজাতীয় ঘটনা আবারও রাজ্যের আইনশৃঙ্খলাকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। কারণ হাঁসখালির গণধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের রেশ এখনও পর্যন্ত মানুষের মনে রয়েছে।