সংক্ষিপ্ত
২ নম্বর ওয়ার্ডে দলের এক অসুস্থ কর্মীকে দেখতে গিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। সেখানেই জলবন্দি এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি। আর তাঁকে কাছে পেয়ে অভিযোগ জানাতে শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আর সেই কথা শোনার পরই মেজাজ হারান তিনি।
খড়্গপুর শহর 'দিলীপ গড়' হিসেবেই পরিচিত। প্রথমবার নির্বাচনে লড়াই করে এখান থেকে বিধায়ক হয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। আর এখন তিনি মেদিনীপুরের সাংসদ। মাত্র ২ বছর তৃণমূলের প্রদীপ সরকার বিধায়ক ছিলেন। কিন্তু, তারপর একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে এই কেন্দ্র থেকে লড়াই করেন হিরন চট্টোপাধ্যায়। ভোটে জিতে এখন এই কেন্দ্রের বিধায়ক তিনি। তবে এই কেন্দ্রের বিধায়ক না থাকলেও এখনও পর্যন্ত এই কেন্দ্র দিলীপের খুব কাছের। আর ভারী বৃষ্টিতে সেখানকার মানুষের জল যন্ত্রণার ছবি দেখে রবিবার সকালে মেজাজ হারান তিনি।
কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন দক্ষিণবঙ্গের একাধিক এলাকা। এখনও একাধিক জায়গায় জল নামেনি। হাঁটু জলের মধ্যে দিয়েই যাতায়াত করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। একই পরিস্থিতি খড়গপুরেও। সেখানেও জলমগ্ন হয়ে রয়েছে একাধিক এলাকা। এই পরিস্থিতিতে সেই জল পেরিয়ে বাজার-দোকান, অফিস করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন স্থানীয়রা।
এদিকে কলকাতার পাশাপাশি মাঝে মধ্যেই খড়গপুরে থাকেন দিলীপ ঘোষ। রবিবাসরীয় সকালে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিলেন তিনি। প্রতিদিনই যান। আর তারপর ২ নম্বর ওয়ার্ডে দলের এক অসুস্থ কর্মীকে দেখতে গিয়েছিলেন। সেখানেই জলবন্দি এলাকাও পরিদর্শন করেন তিনি। আর তাঁকে কাছে পেয়ে অভিযোগ জানাতে শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে যে জলের সমস্যা দেখা দিয়েছে সেকথা দিলীপকে জানান তাঁরা। আর সেই কথা শোনার পরই মেজাজ হারান তিনি।
অগ্নিশর্মী হয়ে দিলীপ বলেন, "আমি সাংসদ কোটার টাকাও দেব, আর আপনাদের হয়ে পৌরসভার বিরুদ্ধে আন্দোলনও করব। আর, আপানারা কি বাড়িতে বসে ঘুমাবেন? যান গিয়ে আন্দোলন করুন, জাতীয় সড়ক ঘেরাও করুন।" তারপর স্থানীয় বাসিন্দারা এলাকার বিদায়ী কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে আরও রেগে যান তিনি। বলেন, "কাউন্সিলরের বাড়ির সামনের রাস্তা ঘেরাও করুন। তার বাড়ির সামনে গিয়ে মলত্যাগ করুন, বাড়ির সামনে গিয়ে কাদা ফেলে দিয়ে আসুন। তাঁর বাড়ি থেকে বেরোনো বন্ধ করে দিন। যে খারাপ লোক, তার সঙ্গে খারাপ লোকের মতোই ব্যবহার করতে হবে।"
আরও পড়ুন, 'ত্রিপুরাতে নাটক করতে যাচ্ছেন TMC নেতারা', ঘাটালে গিয়ে বন্যা ইস্যুতেও বিস্ফোরক দিলীপ
আরও পড়ুন- কাটল জট, অবশেষে ধর্মঘট প্রত্যাহার ট্যাঙ্কার অ্যাসোসিয়েশনের
এরপর দিলীপের নিদান, 'প্রয়োজন পড়লে কাউন্সিলরকে ল্যাম্প পোস্টে বেঁধে রাখুন।' তবে ওই এলাকার বিদায়ী কাউন্সিলার হলেন বিজেপির সুখরাজ কউর। রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে, দিলীপ ঘোষ কি জানতেন না যে ওই এলাকার কাউন্সিলর তাঁর দলেরই একজন মহিলা কর্মী। একজন মহিলা কাউন্সিলেরর বিরুদ্ধে তাঁর এই ধরনের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে উত্তেজনা ছড়িয়েছে দলের মধ্যে।