সংক্ষিপ্ত
- তৃণমূল কংগ্রেসের রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ
- ১০ বছরের কাজের খতিয়ান তুলে ধরা হয়েছে
- রিপোর্ট কার্ডের প্রচারের জন্য বঙ্গধ্বনী যাত্রা
- পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে প্রকাশ রিপোর্ট কার্ড
আনুষ্ঠানিকভাবে পেশ করা হল তৃণমূল কংগ্রেসের রিপোর্ট কার্ড। আর সেই কার্ডে তুলে ধরা হয়েছে গত ১০ বছর রাজ্যে দায়িত্বে থেকে কী কী উন্নয়ন করেছে তারই খতিয়ান। আর এই রিপোর্ট কার্ড নিয়েই আগামিকাল আর্থাৎ শুক্রবার থেকেই রাজ্যের মানুষের কাছে পৌছে যাবে দলীয় নেতা কর্মীরা। সেইজন্য একই সঙ্গে সূচনা করা হয়েছে বঙ্গধোনী যাত্রাও। বৃহস্পতিবার তৃণমূল কংগ্রেসের এই রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ করেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, ইন্দ্রনীল সেনসহ দলের প্রথম সারির নেতৃত্বরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে রিপোর্ট কার্ডের কথা জানিয়েছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
তৃণমূল কংগ্রেসের রিপোর্ট কার্ডে মূলত গত ১০ বছর রাজ্যে কী কী কাজ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস তারই সাফল্যের কথা তুলে ধরা হয়েছে। মূলত ১১ টি বিষয়ের ওপর জোর দেওয়া হয়েছ। যারমধ্যে রয়েছে- শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য, আবাসন, স্যানিটেশন, বিদ্যুৎ , সড়ক, জাল, কৃষক ও মহিলাদের ক্ষমতায়ন, সামাজিক সুরক্ষা ও কর্মসংস্থানের মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি। দলের মূল উদ্দেশ্যই হল তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব রাজ্যের মানুষের জন্য যা যা কাজ করেছে তার একটি সুস্পষ্ট তালিকায় রাজ্যবাসীর কাছে পৌঁছে দেওয়া। ভোটের আগে যা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলেও মনে করছে দলের একটি অংশ।
দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস দশ বছরের মধ্যে আট বছর কাজ করার সুযোগ পেয়েছে। কারণ করোনা মহামারির জন্য গত এক বছর কোনও কাজ করা সম্ভব হয়নি। মহামারির এই সময় রাজ্য সরকার মানুষের পাশে থেকে বলেও দাবি করেন তিনি। পার্থ চট্টোপাধ্যায় রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রীও। আর সেই কারণেই তিনি প্রথমে শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নয়ন তুলে ধরেন। তিনি বলেন ২০১১ সালের তুলনায় শিক্ষা খাতে বরাদ্দ ৩ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। স্বাস্থ্য ও খাদ্য এই দুটি খাতেও বরাদ্দ অনেকটাই বাড়ান হয়েছে।
শুধু রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ করেই থেমে থাকেনি তৃণমূল। উন্নয়নের তালিকা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে আয়োজন করা হয়েছে বঙ্গধ্বনি যাত্রা। শুক্রবার থেকেই শুরু হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের এই কর্মসূচি। আগামা ১০ দিন রাজ্যের প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে তিন থেকে পাঁচটি দল যাত্রা শুরু করবে। দলীয় সূত্রে জানা গেছে রাজ্যে ৪ হাজার নেতা ৯৫০টি দলে ভাগ হয়ে ২৭ হাজার ৫০০ এলাকায় যাবেন। আর এই ভাবেই পৌছে দেওয়া হবে তৃণমূলের রিপোর্ট কার্ড। একই সঙ্গে রাজ্যেবাসীকে দেওয়া হবে ২০২১ সালের একটি পকেট ক্যালেন্ডার। যেখানে লেখা থাকবে দিদিকে বলো। ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের পরিকল্পনায় এই প্রচারাভিযান শুরু হচ্ছে বলেও দলীয় সূত্রে খবর।