সংক্ষিপ্ত

গণনার শেষে দেখা গেল তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী নবেন্দু মহালি বিজেপি প্রার্থী তথা বিজেপি বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায়কে ৪৮৯ ভোটে হারিয়ে দিয়েছেন। বুধবার হারার পর সুদীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, সরকারের পক্ষেই মানুষ রায় দিয়েছেন।

পুরুলিয়া পৌরসভার (Purulia Municipality) মধ্যে সবচেয়ে ভিআইপি ওয়ার্ড (VIP Ward) ছিল ১৬ নম্বর ওয়ার্ড। এই ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থী ছিলেন পুরুলিয়ার বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায় (BJP candidate Sudip Mukherjee) অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে প্রার্থী ছিলেন বিদায়ি পুর বোর্ডের প্রশাসক নবেন্দু মাহালি (TMC candidate Nabendu Mahali)। মনোনয়ন দাখিলের দিন নবেন্দু মাহালি ঘোষণা করেছিলেন তিনি যদি বিধায়ককে না হারাতে পারেন তাহলে তিনি রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নেবেন। 

পাল্টা সুদীপ মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন, তিনি কোনও দিন ভোটে হারেননি এবারেও হারবেন না। এটা চ্যালেঞ্জ। তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেছিলেন উনি হারবেন জেনে হতাশায় ভুগছেন। উনি কোনদিন ভোটে জিততে পারেননি এবার জিতবেন না। কিন্তু গণনার শেষে দেখা গেল তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী নবেন্দু মহালি বিজেপি প্রার্থী তথা বিজেপি বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায়কে ৪৮৯ ভোটে হারিয়ে দিয়েছেন। 

বুধবার হারার পর সুদীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, সরকারের পক্ষেই মানুষ রায় দিয়েছেন। এই রায় আমরা মাথা পেতে নিচ্ছি। আমার বিরুদ্ধে প্রচার করা হয়েছিল। আমি বাইরের থেকে গিয়ে ওখানে প্রার্থী হয়েছি। মানুষ হয়তো সেটাই শুনেছে। সব জায়গায় মানুষ সরকারের পক্ষেই রায় দিয়েছে। এই হার আমি মেনে নিলাম। জীবনে প্ৰথম হারার অভিজ্ঞতা হল।

এদিকে, পুরুলিয়া জেলার (Purulia destrict) ঝালদা, রঘুনাথপুর এবং পুরুলিয়া এই তিনটি পৌরসভার ভোট ইভিএম বন্দি হয়ে স্ট্রং রুমে কড়া নিরাপত্তা বলয়ে ছিল। ঝালদা পৌরসভার ইভিএম ছিল ঝালদা হাই স্কুলের স্ট্রং রুমে। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় ভোট গণনা। মঙ্গলবার পুরুলিয়া শহরের মানভূম ভিক্টোরিয়া ইনস্টিটিউশনের স্ট্রং রুমের পেছনের দিকে একটি বাঁশের সিঁড়ি দেখতে পেয়ে চাঞ্চল্য ছড়ায়। 

বিজেপির অভিযোগ এই বাঁশের সিঁড়ি লাগিয়েই হয়তো ইভিএম কারচুপি করা হয়েছে। খবর পেয়ে মানভূম ভিক্টোরিয়া স্কুল প্রাঙ্গনে পৌঁছান পুরুলিয়ার বিজেপি বিধায়ক তথা পুরুলিয়া পৌরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী সুদীপ মুখোপাধ্যায়, ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী রাজেশ কাটারুকা পুরুলিয়া জেলা বিজেপি সভাপতি বিবেক রাঙা সহ অন্যান্যরা। পুরুলিয়া শহরের বুকে মানভূম ভিক্টোরিয়া ইনস্টিটিউশনের স্ট্রং রুমে কড়া পুলিশি নিরাপত্তা বলয়ের মাঝে কি ভাবে বাঁশের সিঁড়ি লাগলো তা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পুরুলিয়ার রাজনৈতিক মহলে।
পুরুলিয়ার বিধায়ক তথা ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রাথী সুদীপ মুখোপাধ্যায় এবং বিজেপির জেলা সভাপতি বিবেক রাঙ্গা সরাসরি জানান বাঁশের সিঁড়ি লাগানো রয়েছে মানে ইভিএম কারচুপি হয়েছে।