সংক্ষিপ্ত

ইতিমধ্যে বসিরহাট মহকুমার ২০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা করোনা আক্রান্ত হয়ে হোম আইসোলেশন রয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। তাদেরও পাশে দাঁড়িয়েছে সবুজ ভলেন্টিয়াররা।

গত বছরের শুরুতে যখন গোটা দেশে আছড়ে পড়ে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ(second wave of corona virus) তখন রাজ্যের সমস্ত প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধে মিলিয়ে রেড ভলেন্টিয়ার(Red Volunteer) নামে ময়দানে নেমে পড়েছিল বাম ছাত্র যুবরা(Left student youth)। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে প্রশংসাও কুড়িয়েছিল সমাজের একটা বড় অংশের কাছ থেকে। এমনকী নতুন বছরে করোনার তৃতীয় ঢেউ(third wave of the corona) আছড়ে পড়তেই ফের মাঠে দেখা যাচ্ছে রেড ভলেন্টিয়ারদের। এবার একই কায়দায় করোনা আক্রান্তদের পাশে দাঁড়াতে মাঠে নামতে দেখা গেল সবুজ ভলেন্টিয়ারদের(Green Volunteer)। তৃণমূল মনষ্ক ছাত্র-যুবরাই(Trinamool minded students) বসিরহাটে এই কাজ শুরু করেছে বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে ইতিমধ্যে বসিরহাট মহকুমার ২০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা করোনা আক্রান্ত(20 teachers of Basirhat sub-division are corona affected) হয়ে হোম আইসোলেশন রয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। তাদেরও পাশে দাঁড়িয়েছে সবুজ ভলেন্টিয়াররা।

একই সঙ্গে তাদের উদ্যোগেই বসিরহাটের একাদিক স্কুলে চলছে স্যানিটাইজেশনের কাজ। বসিরহাট দক্ষিণের বিধায়ক সপ্তসী ব্যানার্জির উদ্যোগেই মূলত মাঠে নেমেছে সবুজ ভলেন্টিয়াররা।  এদিকে এলাকায় সবুজ ভলেন্টিয়ারদের সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তৃণমূল নেতা শম্ভু সাহার উপরেই। তিনিই সমস্ত কাজের তদারকি করছেন। তাদের উদ্যোগেই শুক্রবার বসিরহাট হাই স্কুল, সাইপালা প্রাইমারি স্কুল, হরিমোহন দালাল গার্লস হাই স্কুল দমকল বিভাগকে সঙ্গে নিয়ে স্যানিটাইজেশনের কাজ শুরু করেন সবুজ ভলেন্টিয়ারের সদস্যরা।পাশাপাশি এলাকার মানুষকে সচেতন করতে করোনা নিয়ে একাদিক প্রচারাভিযানও চালানো হয়। সব মিলিয়ে সবুজ ভলান্টিয়াররা যে এবার লাল ভলেন্টিয়ারদের পাল্টা সামাজিক কাজে দায়বদ্ধ হচ্ছে সেটা বলা বাহুল্য।

আরও করুন- স্বস্তি রাজ্য সরকারের, শর্তসাপেক্ষে গঙ্গাসাগর মেলার অনুমতি হাইকোর্টের

যতদিন করোনার তৃতীয় ঢেউ রাজ্যে তার প্রভাব বিস্তার করবে ততদিন এই কাজ চলবে বলে জানান উদ্যোক্তারা। বর্তমানে একদিকে যেমন বাড়ি বাড়ি করোনা আক্রান্ত রোগীদের খাবার ঔষধ পৌঁছে দিচ্ছেন। অন্যদিকে কোন ব্যক্তির শ্বাসকষ্ট হলে তার জন্য অক্সিজেন পালস অক্সিমিটার নিয়ে আক্রান্ত রোগীর ঘরে পৌঁছে যাচ্ছেন তারা। তাদের এই কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন। এদিকে তাদের এই কাজে স্বভাবতই খুশি বসিরহাটের সাধারণ মানুষ। অনেকেই তাদের কাজের ভূয়সী প্রশাংসাও করেছেন।  

আরও পড়ুন-ক্যান্সার হাসপাতালের উদ্বোধনে মোদী, করোনা মোকাবিলায় বাংলাকে দিলেন নয়া বার্তা

এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বসিরহাটের সবুজ ভলেন্টিয়ারদের সভাপতি শম্ভু সাহা বলেন, “আমরা বসিরহাট মহাকুমার সীমান্ত থেকে সুন্দরবনের বিভিন্ন প্রান্তিক জায়গায় গিয়ে স্বাস্থ্য আধিকারিক থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি যারা করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বজায় রাখার জন্য খাবার ওষুধ পৌছে দিচ্ছি। এমনকি অক্সিজেন সিলিন্ডার তাদের বাড়ি গিয়েই দিয়ে আসছি। আমাদের সদস্যরা দিবারাত্র এই কাজ করে চলেছে। যতদিন করোনা থেকে মুক্তি না পাবো  ততদিন এই কাজ করে যাব।