সংক্ষিপ্ত

করোনা প্রকোপের কারণেই এদিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি হল ভার্চুয়ালি। এদিনের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতার বন্দোপাধ্যায় সহ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রীও।

প্রতীক্ষার অবসান। অবশেষে পূর্ব নির্ধারিত সূচি মেনেই শুক্রবার দুপুর ১টায় নিউটাউনে চিত্তরঞ্জন ক্যান্সার হাসপাতালের(Chittaranjan Cancer Hospital in Newtown) দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী(Prime Minister Narendra Modi)। এদিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতেই বিজেপি সরকারের একাধিক জনমুখী প্রকল্প(Multiple people oriented projects of BJP government) নিয়ে একটানা বক্তব্য রাখতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রীকে। আয়ুষ্মান ভারত নিয়েও একগুচ্ছ পরিসংখ্যান সামনে আনেন মোদী। সেই সঙ্গে বাংলার জনস্বাস্থ্যের উন্নতিতে তার সরকার কীভাবে কাজ করেছে তা নিয়েও একাধিক তথ্য তুলে ধরেন তিনি। পাশাপাশি বাংলার করোন পরিস্থিতির উন্নতিতে সরকার ইতিমধ্যেই একাধিক সাহায্য পাঠিয়েছে বলে তিনি জানান। এদিকে করোনা প্রকোপের কারণেই এদিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি হচ্ছে ভার্চুয়ালি। এদিনের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়(Bengal Chief Minister Mamata Banerjee) সহ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রীও।

এদিন অনুষ্ঠানের শুরুতে পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতে ক্যান্সার সেবায় চিত্তরঞ্জন হাসাপাতাল কীভাবে ছাপ ফেলছে এবং নতুন ক্যাম্পাসের পথ চলা শুরু হওয়ার পর কীভাবে মানুষ উপকৃত হতে পারেন সেই বিষয়ে এদিন একটি ডকু ফিকশনও দেখানো হয়। এরপরই ভার্চুয়ালি রিমোট দিয়ে পর্দা সরিয়ে হাসাপাতালের অফিসিয়াল উদ্বোধন করেন মোদী। এরপরই এই হাসাপাতালের নাম সেই বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাসকে স্মরণ করে এদিনের উদ্বোধনী বর্ক্তৃতার শুরু করেন মোদী। তাঁকে বলতে শোনা যায়, দরিদ্র ও নিম্মমধ্যবিত্ত মানুষদের সুবিধার্থেই মূলত তৈরি করা হয়েছে এই হাসপাতাল। আগামীতে দেশের ক্যান্সার সেবায় দেশকে দিশা দেখাবে এই হাসাপাতাল। মনে রাখা হবে বাংলার অবদানও। একের পর এক নতুন প্রকল্পের উদ্বোধন আদপে দেশেরই আত্মনির্ভরতার প্রতীক। এটা দেশের রেকর্ড ইচ্ছা শক্তির প্রতীক।

আৎও পড়ুন-‘ক্যাম্পেসের উদ্বোধন আগেই হয়েছে’, চিত্তরঞ্জন ক্যান্সার হাসপাতালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মোদীকে খোঁচা মমতার

অন্যদিকে দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়েও একগুচ্ছ পরিসংখ্যানও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর দাবি ইতিমধ্যেই দেশের বয়ষ্ক নাগরিকদের ৯০ শতাংশ করোনা টিকার প্রথম ডোজ পেয়ে গিয়েছেন। পাশাপাশি নতুন বছরে এখনও পর্যন্ত ১৫০ কোটি টিকাকরণের হয়ে গিয়েছে বলেও জানান তিনি। অন্যদিকে  টিকাকরণ শুরুর পর থেকে এখনও পর্যন্ত ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সী কিশোর-কিশোরীদের ১৫ কোটি টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে বলেও জানান মোদী। অন্যদিকে করোনা মোকাবিলায় কীভাবে কেন্দ্র সরকার বাংলার পাশে দাঁড়িয়েছে সেকাথাও এদিন বলতে শোনা যায় মোদীকে। তাঁর দাবি, জরুরি অবস্থা মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই রাজ্যকে দেড় হাজারের বেশি ভেন্টিলেটর দেওয়া হয়েছে। পাঠানো হয়েছে অতিরিক্ত অক্সিজেন। অন্যদিকে মোদীর পাশাপাশি এদিন উদ্বোধনী বর্ক্তৃতা রাখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ও।