সংক্ষিপ্ত

  • বিজেপি নয়, পার্টি অফিস দখল নিয়ে দ্বন্দ্ব দুই তৃণমূলের গোষ্ঠীর মধ্যে
  • এই ঘটনা ঘটেছে বসিরহাটের সদরপুর গ্রামে
  • পার্টি অফিসে কোন গোষ্ঠী থাকবে তা নিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি 
  • তৃণমূলের কার্যালয় দখলকে ঘিরে গোষ্ঠীর বচসা মেটাতে আসে পুলিশ 
     

বিজেপি নয়, পার্টি অফিস দখল নিয়ে দ্বন্দ্ব বাধল দুই তৃণমূলের গোষ্ঠীর মধ্যে। এই ঘটনা ঘটেছে বসিরহাটের সদরপুর গ্রামে।  শনিবার সকাল এগারোটা নাগাদ তৃণমূলের পার্টি অফিসে কোন গোষ্ঠী থাকবে তা নিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তৃণমূলের কার্যালয় দখলকে ঘিরে গোষ্ঠীর বচসা মেটাতে তড়িঘড়ি আসে পুলিশ। 

অভিযোগ, সিপিএম থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া নব্যদের সঙ্গেই পুরোনোদের সংঘাতে এই ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে তৃণমূলের যুব কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি শাহাবুদ্দিন গাজি বলেন, মুকুল মণ্ডলের নেতৃত্বে আচমকা কিছু ছেলে বাঁশ,লাঠি নিয়ে তাদের ওপর হামলা করে। তারাই পার্টি অফিস দখল করতে যায়। এরাই লোকসভা ভোটে বিজেপিকে ভোট দিয়েছে বলে দাবি করেন গাজি। তাঁর অভিযোগ, পার্টি  অফিস দখলে বাঁধা দিলে দলের পতাকাই ছিঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়। নতুন তালা মেরে দেওয়া হয় পার্টি অফিসে । ভয় দেখিয়ে আটকে রাখা হয় তৃণমূলের সদস্যদের। 

যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেন তৃণমূলের অন্য গোষ্ঠীর নেতা মুকুল মন্ডল। তিনি বলেন, আমরা এখানে পুরোনো তৃণমূল বলেই পরিচিত। এখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ও ফেস্টুন লাগাচ্ছিলাম। সেই সময় আমাদেরকে বাধা দেয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছবি লাগাচ্ছিলাম নতুন করে যাতে পার্টি অফিস সক্রিয় করা যায়। এটা দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছিল। তার জন্য আমরা এসব করছিলাম। আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। 

এ বিষয়ে উত্তর ২৪ পরগনা শিক্ষা কর্মদক্ষ ফিরোজ কামাল গাজি বলেন, এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগ। পুলিশকে বলেছি, সঠিক তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে । ঘটনাস্থলে হাসনাবাদ থানা পুলিশ এসে পার্টি অফিসের পরিস্থিতি মোবাইল ফোনে ক্যামেরাবন্দি করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় পুলিশ পিকেট  বসানো হয়েছে।