সংক্ষিপ্ত
- তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জের, খুন প্রাক্তন প্রধান
- ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর থানার বেলিয়াড়া গ্রামে
- তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ
- এলাকায় উত্তেজনা থাকায় মোতায়েন হয়েছে পুলিশ বাহিনী
তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে খুন হলেন তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধান। গতকাল রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর থানার বেলিয়াড়া গ্রামে। মৃত প্রাক্তন প্রধান শেখ বাবর আলি। স্থানীয় উলিয়ারা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান ছিলেন তিনি। গতকাল রাত থেকেই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ এবং ব্যাপক বোমাবাজি হয় বলে অভিযোগ। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বেলিয়াড়া গ্রামেই বাড়ি উলিয়াড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান ও বর্তমান প্রধানের। তৃণমূলের দুই পক্ষের আলাদা আলাদা গোষ্ঠী রয়েছে। এলাকায় শাসক দলের কর্তৃত্ব কোনও গোষ্ঠীর হাতে থাকবে তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই দুপক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিনের ঠান্ডা লড়াই চলছিল। গতকাল রাতে একদল দুষ্কৃতী চড়াও হয় গ্রামের মধ্যে থাকা তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে।
অভিযোগ,ব্যাপক বোমাবাজির পাশাপাশি ওই দলীয় কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় দুষ্কতীরা। এরপরই দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ের অদূরে থাকা তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধান শেখ বাবর আলির বাড়িতে। তাঁর বাড়ি লক্ষ করে ব্যাপক বোমাবাজি হয়। হামলা হয়েছে বুঝতে পেরে বাবর আলি পাশে থাকা হাজি সাহেবের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। এরপর দুষ্কৃতীরা হাজি সাহেবের বাড়ির দরজা ভেঙে ঢুকে শেখ বাবর আলিকে বোমা মেরে ও ছুরির আঘাতে খুন করে।
এরপর রাতভর এলাকায় বোমাবাজি চালায় দুষ্কৃতীরা। খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে পাঠায়। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় রাতেই বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে গোটা গ্রাম মুড়ে ফেলে। সকাল থেকে এলাকায় চলছে পুলিশের টহলদারি। এলাকায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে।
পুলিশ এই ঘটনায় এখনও অবধি পাঁচজনকে আটক করেছে। প্রাক্তন প্রধানকে খুনের ঘটনায় অভিযোগ, উঠছে তৃণমূলের অপর গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি জানিয়েছেন বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ তদন্ত করছে। ঘটনায় জড়িত যারা তারা শাস্তি পাবে বলে আশ্বাস জেলা সভাপতির।