সংক্ষিপ্ত
- পঞ্চায়েতের সাধারণ সভা ঘিরে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ
- দুই পক্ষের সমর্থকদের সংঘর্ষের জেরে রণক্ষেত্রে এলাকা
- উত্তপ্ত চেহারা নিল হেরামপুর পঞ্চায়েত চত্বর
- পরিস্থিতি সামাল দিতে ইসলামপুর থানার বিশাল পুলিশবাহিনী
পঞ্চায়েতের সাধারণ সভার বৈঠককে ঘিরে তৃণমূলের দুই পক্ষের সমর্থকদের সংঘর্ষের জেরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল হেরামপুর পঞ্চায়েত চত্বর। পরিস্থিতি সামাল দিতে ইসলামপুর থানার বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছয়। দুপক্ষই একে অপরের উপর ইট, লাঠিসোটা নিয়ে চড়াও হয় বলে অভিযোগ।
এই ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন তিন তৃণমূল কর্মী ও পঞ্চায়েতে কাজের উদ্দেশ্যে আসা দুই গ্রামবাসী।গুরুতর জখমদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েতের উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পঞ্চায়েতের সাধারণ সভা ডাকা হয় তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত হেড়ামপুর গ্রামপঞ্চায়েত ভবনে। সেখানেই তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচিত সদস্যদের দুটি দলের মধ্যে মতানৈক্যের জেরে হাতাহাতি শুরু হয়।
অভিযোগ, পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের রমযান আলির পক্ষের সদস্যরা বহিরাগতদের নিয়ে পঞ্চায়েত ভবনে ঢুকে হামলা চালায়।ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে প্রধানের বিরোধী গোষ্ঠীর লোকজনদের ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়া হয়। এতেই পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে।ইতিমধ্যেই প্রধানের বিরোধীপক্ষের পঞ্চায়েতের অন্যান্য সদস্যদের সর্মথকরা সেখানে এলে দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে বচসা ওপরে লাঠিসোটা নিয়ে তুলকালাম মারপিট শুরু হয়।
ঘটনায় রেহেসান শেখ, মনিরুল ইসলাম নামের দুই তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় নেতা ও নাসির শেখ নামের এক সাধারণ যুবক গুরুতর জখম হন। তাদেরকে পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে ইসলামপুর গ্রামীন হাসপাতালে পাঠায়। মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ তথা জেলা সভাপতি আবু তাহের খান বলেন," এরকম ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি তবে পুরো বিষয়টি না জেনে কিছু বলা সম্ভব নয় দলের মধ্যে থেকে কোনওরকম অনুশাসন ভাঙার কাজ বরদাস্ত করা হবে না"।