সংক্ষিপ্ত

ফের গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেতা। হাওড়া জেলা সদরের তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের সম্পাদক ওয়াজুল খানকে খুব কাছ থেকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা বলে অভিযোগ।

ক্যানিং এর পরে হাওড়া (Howrah)। ফের গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেতা(TMC Leader)। হাওড়া জেলা সদরের (Howrah district) তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের (Trinamool Minority Cell) সম্পাদক ওয়াজুল খানকে খুব কাছ থেকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা বলে অভিযোগ। তাকে নারায়না সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সোমবার রাতে তিনি যখন বাড়ির সামনে বসে ছিলেন, সেই সময় দুষ্কৃতীরা গুলি করে চম্পট দেয়।

তবে কে বা কারা গুলি করেছে এখনও তা স্পষ্ট নয়। তার ভাই গুড্ডু খান বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। গুড্ডুর স্ত্রী নাসরিন খাতুন হাওড়া পুরসভার প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর ছিলেন। ফলে কোনও পুরোনো বিবাদ বা পারিবারিক বিবাদ থেকে এই ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। দলের একের পর এক নেতা গুলিবিদ্ধ  হওয়ার ঘটনায় সরব হয়েছে শাসক দল। ঘটনায়  রাজনৈতিক রং লাগানোর পাশাপাশি অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারির দাবি জানানো হয়েছে। 

এদিকে, গত শনিবার সন্ধেয় গুলিবিদ্ধ হন ক্যানিংয়ের যুব তৃণমূল নেতা মহরম শেখ। রাত ২টো নাগাদ এসএসকেএম হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। এই ঘটনার চব্বিশ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ফের আরেক তৃণমূল নেতার গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর মেলে। রাস্তার উপর তৃণমূল নেতার মাথা লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। ঘটনাটি ঘটে জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের ভুটকি গন্ডার মোর এলাকায়। গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেতার নাম সোলেমান আলি। 

সোলেমান ব্লকের একজন প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা বলেই জানা যায়। তার চা বাগানের ব্যবসা রয়েছে। কিন্ত কেন তাকে রাস্তার উপর এইভাবে গুলি করে মারার চেষ্টা করা হল, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। ঘটনায় শুধু সোলেমান আলি একা নয়, আহত হন স্থানীয় এক লটারি ব্যবসায়ী।

রবিবার রাতে রাজগঞ্জের ভুটকি গন্ডার মোর এলাকায় একটি লটারির দোকানে বসেছিলেন বছর ৫৫-এর সোলেমান আলি। সেই সময় বাইকে করে এসে দুই অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তি লটারি দোকানের সামনে দাড়ায়। বাইক তখন চালু অবস্থায় ছিল। অন্যজন বাইক থেকে নেমেই সোলেমানের মাথায় গুলি করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা ধাওয়া করছিলেন। 

কিন্তু ততক্ষণে অন্ধকারে হারিয়ে যায় ওই দু'জন। ঘটনাস্থলেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে সোলেমান। সেই গুলিটি ছিটকে লটারি দোকানদার এর লাগে। তিনি আহত হন। তার বাড়ি সেল্টারবাড়ি এলাকায়। ঘটনায় মুহূর্তের মধ্যে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা ভিড় জমান এলাকায় দোষীদের দ্রুত গ্রেফতারির দাবি জানানো হয়।