সংক্ষিপ্ত

  • মুর্শিদাবাদের ডোমকলে তৃণমূল নেতার কীর্তি
  • প্রকাশ্য রাস্তায় তৃণমূলের বুথ সভাপতির নেতৃত্বে গুলি চালনা
  • দুষ্কৃতী বাহিনী বন্ধুক উঁচিয়ে দেদার গুলি চালাল এলাকায়
  • ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন এক তৃণমূল কর্মী 
     

উত্তরপ্রদেশ কিংবা বিহার নয়, খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গর্বের বাংলায় মুর্শিদাবাদের ডোমকলের রঘুনাথপুর এলাকায় রবিবার ঘটে গেল রোমহর্ষক ঘটনা। রীতিমতো প্রকাশ্য রাস্তায় তৃণমূলের বুথ সভাপতির নেতৃত্বে দুষ্কৃতী বাহিনী বন্ধুক উঁচিয়ে দেদার গুলি চালাল দলেরই সমর্থকদের লক্ষ্য করে। যার ফলে আনোয়ার সইদ জনি নামে এক তৃণমূল কর্মী গুরুতর জখম হয়ে মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। 

ঘটনার জেরে আক্রান্তের পরিবার ডোমকল থানায় ৯ জনের নামে রবিবার সন্ধ্যায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। যদিও এ ব্যাপারে মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তন্ময় সরকার বলেন," থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে পুলিশ অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। এর বেশি এখন কিছু বলা সম্ভব নয়"। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে থেকেই। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রঘুনাথপুর এলাকায় তৃণমূল কর্মী পেশায় ব্যবসায়ী আনোয়ারের সঙ্গে তৃণমূল কর্মী ব্যবসায়ী পিন্টুর পরিবারের দীর্ঘদিন ধরে ঝামেলা চলছে। এদিন মূলত ফুটপাতের ওপর আনোয়ারের দোকানের চালের ঢাল কোন দিকে থাকবে তা নিয়েই বিবাদ শুরু হয়। মুহূর্তের মধ্যেই পরিস্থিতি রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। অভিযোগ তৃণমূল কর্মী আনোয়ারকে শিক্ষা দিতে পিন্টু পার্শ্ববর্তী বাবলাবোনা গ্রামের তৃণমূলের বুথ সভাপতি রাজ্জাক শেখ সফতার সাগরেদ আসাদুল সেখ ও অন্যান্যদের ডেকে আনে।

এরপরই পিন্টুর কথামতো ওই তৃণমূলের বুথ সভাপতি রজ্জাক ও তার দলবল আনোয়ারকে শিক্ষা দিতে এলাকায় প্রবেশ করে। এরপরই পিস্তল উঁচিয়ে প্রকাশ্যে গুলি ছুড়তে থাকে হামলাকারী। পরপর ৬ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়। যার জেরে গুলিবিদ্ধ হয় তৃণমূল কর্মী আনোয়ার। এরপরে দুই পক্ষের মধ্যে চরম ঝামেলা শুরু হয়। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে রজ্জাক ও তার দলবল বন্দুক উঁচিয়ে শূন্যে গুলি ছুড়তে ছুড়তে এলাকার ছাড়ে বলে অভিযোগ।যদিও এই যাবতীয় ব্যাপারে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা অস্বীকার করেছেন মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।

মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ পাতা জেলা তৃণমূল সভাপতি আবু তাহের খান বলেন," যতটুকু প্রাথমিকভাবে জেনেছি এখানে তৃণমূলের কোন গোষ্ঠী তাদের ব্যাপার নেই দুই প্রতিবেশীর মধ্যে তাদের ব্যক্তিগত ঝামেলা থেকেই এই কাণ্ড ঘটেছে। বাকিটা আইন আইনের মতো কাজ করবে"।