সংক্ষিপ্ত

ফুটপাথের বিরিয়ানি খাওয়া কি সেফ ? কোচবিহারের এই দোকানের বিরিয়ানি খেলেই  নাকি কমছে কাস্টমারদের যৌন-বাসনা।

শহর হোক বা গ্রাম , কলকাতা হোক বা অন্য কোনো শহর , বিরিয়ানি লাভারদের সংখ্যা যে হারে  লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে  তার সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে ডিমান্ড-সাপ্লাই এর সমীকরণ অনুযায়ী বাড়ছে পাড়ার মোড়ে গজিয়ে ওঠা বিরিয়ানির দোকান গুলোর সংখ্যা। জন্মদিন হোক বা গেট টুগেদার পাড়ার মোড়ের এই পকেট ফ্রেন্ডলি বিরিয়ানি রসনা-তৃপ্তির সাথে সাথে ভোরায় মনও।  কিন্তু এই বিরিয়ানি খাওয়া কি সেফ ? এই বিরিয়ানি খেলে কোথাও কমবে না তো আপনার পুরুষত্ব ? ভাবছেন কেন বলছি ? তবে শুনুন এই ঘটনা। কোচবিহারের বেশ কিছু বিরিয়ানির দোকানগুলির উপর এখন  অভিযোগ উঠছে যে সেই দোকানের বিরিয়ানি খেলেই  নাকি কমছে কাস্টমারদের যৌন-বাসনা। এমন গুরুতর অভিযোগ  পেয়েই রাস্তায় নামেন কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।  অভিযোগ পেয়েই তিনি স্বয়ং হানা দেন ওই দোকানগুলিতে। সূত্রের খবর যে একটি দোকান ধমক দিয়ে বন্ধও করে দেন তিনি। 

 কোচবিহার শহরের পাওয়ার হাউস মোড় এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে একটি বিরিয়ানির দোকান।  শনি মন্দিরের সামনে গড়ে ওঠা এই দোকান নিয়ে এলাকাবাসী এর আগেও অভিযোগ জানিয়েছিল রবীন্দ্রনাথবাবুর কাছে।  এবার তদন্তে নেমে তিনি নিজে বিষয়টি খতিয়ে দেখেন একবার । তিনি বলেন যে রাস্তা দখল করে এতদিন অবৈধভাবে  ব্যবসা করছিল  ওই বিরিয়ানির দোকানটি  . এছাড়াও প্রতিদিন ওই দোকানে নতুন নতুন লোক আসে  উত্তরপ্রদেশ-বিহার থেকে। সারারাত চলে মদের আসর। এইসব - এলাকার পরিবেশ নষ্ট করছে।  তাই তিনি নিজে ওই দোকানের মালিকের বিরুদ্ধে নেন কড়া আইনি পদক্ষেপ। 

রবীন্দ্রনাথ বলেন ,‘‘ট্রেড লাইসেন্স ছাড়াই এরা দোকানদারি করছে বেআইনি ভাবে। যে মশলা দেওয়া হচ্ছে তা নিয়েও মানুষের অভিযোগ রয়েছে। এই মশলা দেওয়া বিরিয়ানি খেলে পুরুষত্ব কমে যায়। সুতরাং নানা রকম অভিযোগ আসছে অনেক দিন থেকে। তাই আজকে আমরা এসেছি। এসে দেখছি, যে শেড দেওয়া হয়েছে তা রাস্তার দিকে। রাস্তায় রান্নাবান্না করা হচ্ছে।’’

ওই বিরিয়ানির মালিকের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় এফআইআর দায়ের করার পর  তিনি বলেন  ‘‘ওদের কোনও কাগজপত্র নেই । ফায়ার লাইসেন্স, ট্রেড লাইসেন্স এবং ফুড লাইসেন্স নেই। কোনও কাগজপত্রই নেই ওদের। ওরা খাবারে কী রং দেয়, তাতে ক্ষতি হয় কি না তা খতিয়ে দেখতে হবে। খাদ্য দফতরকে বলতে হবে পরীক্ষা করার জন্য। আরও কতগুলি চলছে, ওগুলিও বন্ধ করে দেব। কোনও অনুমতি নেই ওদের। পুরসভা অভিযান চালাবে। খাবারের সঙ্গে কোনও আপোস করা হবে না। কারণ খাবারে কী মশলা দিচ্ছে, কী খাবার দিচ্ছে তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। অনেকে অভিযোগ করেছেন, খাবারে যা মশলা দেওয়া হয় তাতে পুরুষত্ব নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই খাবারের মান যাচাই করা হবে।’’

House Wife Suicide : গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, ব্যাপক চাঞ্চল্য এলাকা জুড়ে

দীপান্বিতা কালীপূজা দিনে অন্যতম শক্তিপীঠ তারাপীঠে শুরু হয়েছে মায়ের পুজোর আয়োজন