সংক্ষিপ্ত

  •  মুর্শিদাবাদের তৃণমূল বিধায়ক সুব্রত সাহা
  • কর্মীদের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখেন না বিধায়ক, অভিযোগ স্থানীয় নেতাদের
  • বিধায়কের বিরুদ্ধে  দলীয় নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ করার ভাবনা
     


রাত পোহালেই মঙ্গলবার বহরমপুরে তৃণমূলের এনআরসি বিরোধী মহাসভা। সেখানে ফিরহাদ হাকিম,শুভেন্দু অধিকারীর মতো তৃণমূলের প্রথম নেতা মন্ত্রীদের উপস্থিত থাকার কথা। আর তার কয়েকদিন পরেই মুর্শিদাবাদে জেলায সফরে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

তার আগেই মুর্শিদাবাদে সাগরদিঘিতে তৃণমূলের দু' বারের বিধায়ক সুব্রত সাহাকে নিয়ে দলের চরম গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে এল। সাগরদিঘি পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সভাপতি সিরাজুল ইসলাম- সহ একাধিক পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ও পঞ্চায়েত প্রধান একত্রিত হয়ে সাগরদীঘির বিধায়ক সুব্রত সাহার বিরুদ্ধে এবার মুখ খুললেন। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, 'সুব্রতবাবু এই সাগরদিঘF এলাকা থেকে পরপর দু' বার বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন, এমন কী মন্ত্রীও হয়েছেন। কিন্তু দলের পুরনো কর্মীরাই প্রয়োজনে ওনাকে কোনও কাজে পান না। উনি বেছে বেছে দলের কয়েকজন বাছাই কর্মীর হয়েই কাজ করেন। আগামী দিনে এই এলাকা থেকে বহিরাগত কাউকে যাতে দল টিকিট না দেয়, আমরা সেই দাবি দলের কাছে রাখব।'

এছাড়াও পঞ্চায়েত সমিতিতে তৃণমূলের কর্মাধ্যক্ষ মহম্মদ আলি মর্তুজা একই সুরে অভিযোগ তুলে বলেন,'আমাদের বিধায়ক কেবল ভোটের সময় প্রয়োজন পড়লেই এখানে আসেন। বাকি সময় উনি দলীয় কর্মীদের সঙ্গে পর্যন্ত সেই ভাবে দেখা করেন না। আমরা প্রয়োজনে মঙ্গলবার বহরমপুরে এনআরসি বিরোধী সভায় দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের কাছে এই সমস্ত অভাব অভিযোগ পরিষ্কারভাবে তুলে ধরব।'

 মঙ্গলবারের সভা ও মুখ্যমন্ত্রীর মুর্শিদাবাদ সফরের আগে এই ঘটনা জেলা তৃণমূল নেতৃত্বকে যথেষ্টই বিপাকে ফেলেছে।  সুব্রতবাবু নিজেও যথেষ্ট অস্বস্তির মধ্যে পড়েছেন। তিনি অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগে আমল দিতে নারাজ। তার স্পষ্ট বক্তব্য,'দলে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বা বিরোধিতা নেই। যারা এসব বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন, দল তাঁদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে বলেই আমার বিশ্বাস।' জেলা তৃণমূলের বাকি নেতারা এ বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন।