সংক্ষিপ্ত
উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আবারও বড় ধাক্কা খেল তৃণমূল বিরোধী জোট। দীর্ঘ টালবাহানার পর ২১ জুলাই অর্থাৎ বৃহস্পতিবার তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় জানিয়ে দেন উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অনুপস্থিত থাকবে তৃণমূল কংগ্রেস।
উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আবারও বড় ধাক্কা খেল তৃণমূল বিরোধী জোট। দীর্ঘ টালবাহানার পর ২১ জুলাই অর্থাৎ বৃহস্পতিবার তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় জানিয়ে দেন উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অনুপস্থিত থাকবে তৃণমূল কংগ্রেস। এনডিএ প্রার্থী জগদীপ ধনখড়তো বটেই কংগ্রেস তথা বিরোধী শিবিরের প্রার্থী মার্গারেট আলভাকেও ভোট দেবে না তৃণমূল কংগ্রেস।
এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দলের সব সাংসদ ও দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেই উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, জগদীপ ধনখড় বাংলার রাজ্যপাল থাকাকালীন যেভাবে কাজ করেছেন তাতে এনডিএ প্রার্থী হিসেবে কিছুতেই তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থন করবে না। তিনি আরও বলেন যেভাবে তড়িঘড়ি বিরোধীরা মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে আলোচনা না করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তাতে ৮৫ শতাংশ সাংসদই বিরোধী প্রার্থীকে সমর্থন করতে রাজি হননি। সেই কারণেই তৃণমূল কংগ্রেস ভোটদানে বিরত থাকবে বলেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অভিষেক আরও বলেছেন, মার্গারেট আলভার সঙ্গে মমতার ভালো সম্পর্ক। কিন্তু কংগ্রেস যেভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাকে সমর্থন করা যায় না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আগেই তৃণমূল কংগ্রেস জানিয়েছিল উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দল কাকে সমর্থন করবে তার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ২১ জুলাইয়ের বৈঠকের পর। সেইমত এদিন অভিষেক জানিয়ে দেন দল কোনও উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোট দান থেকে বিরত থাকবে। তিনি আরও বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাই ভোটদান থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তারপরই তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন দলের নেতারা। তাই ২১ জুলাইয়ের পরই বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী ঐক্য নেই কথা বলেন। তিনি বলেন, বিরোধী দলগুলি যারা বিজেপির বিরুদ্ধে মাঠে নেমে লড়াই করছে তাদের স্বাগত জানাচ্ছে তৃণমূল। সংসদে বিরোধীদের সঙ্গেই রয়েছে তৃণমূল। কিন্তু উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মমতার সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি বলেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।