সংক্ষিপ্ত
- পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলের ঘটনা
- কাটমানির বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ
- বিক্ষোভ দেখাল যুব তৃণমূল
- অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু জনস্বাস্থ্য কারগরি দফতরের
কাটমানি নিয়ে এতদিন তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন সাধারণ মানুষ। কোথাও কোথাও তাতে নাম জড়িয়েছিল বিজেপি-রও। এবার অবশ্য আমজনতা নয়। কাটমানি নেওয়ার অভিযোগে রাজ্য সরকারি অফিসে গিয়ে খালি গায়ে বিক্ষোভ দেখালেন যুব তৃণমূলের নেতা, কর্মীরাই।
আরও পড়ুন- কাটমানির 'হোম ডেলিভারি', বাড়ি বাড়ি গিয়ে টাকা ফেরত বাঁকুড়ার তৃণমূল নেতার, দেখুন ভিডিও
মঙ্গলবার এমনই কাণ্ড ঘটেছে আসানসোলের জনস্বাস্থ্য কারগরি দফতরে। কাটমানি না দিলে চাকরি হয়না, এই অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার ওই দফতরে গিয়ে অভিনব বিক্ষোভ দেখালেন যুব তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। দফতরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারের টেবিলে জামা, প্যান্ট, ঘড়ি, আংটি খুলে ও মোবাইল জমা দিয়ে বিক্ষোভ দেখান আন্দোলনকারীরা। যুব তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখানো হয়। পরে দফতরের বাইরে এসেও হাফপ্যান্ট পরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। ঘটনায় স্বভাবতই বেশ অস্বস্তিতে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, আসানসোলের কল্যাণেশ্বরী জল প্রকল্পে কাটমানির বিনিময়ে বেশ কয়েকজনকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে নিয়োগ করা হয়েছে। তারই প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ। বিক্ষোভকারীদের দাবি, তাঁদের কাছে কাটমানি দেওয়ার মতো টাকা নেই। তাই জামাকাপড়, আংটি, ঘড়ি, মোবাইল জমা দিয়ে তার বিনিময়ে চাকরির দাবি করছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন- দাপুটে নেতা হলেন 'চোরা গোপাল', কাটমানি ফেরত চেয়ে অভিযোগ পূর্ব মেদিনীপুরে
এক বিক্ষোভকারীর অভিযোগ, আইটিআই পাশ করার শংসাপত্র, রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের শংসাপত্র জমা দেওয়ার পরেও নিয়োগপত্র বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। ঠিকাদারের দাবি মতো টাকা দিতে না পারাতেই চাকরি হয়নি বলে অভিযোগ ওই যুবকের। একই অভিযোগ তুলেছেন আরও অনেকে।
যুব তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক বিশ্বজিত চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, 'কল্যাণেশ্বরী জল প্রকল্পে গত ৯ তারিখ বহিরাগত চারজনকে নিয়োগ করা হয়েছে। অষ্টম শ্রেণি উত্তীর্ণদের বিদ্যুৎ বিভাগে নেওয়া হয়েছে অথচ আইটিআই পাশ করা ছেলেরা কাজ পাননি। এমন কী, দক্ষ এক স্থানীয় যুবককে নিয়োগপত্র দিয়েও কাজ দেওয়া হয়নি।'
গত ৯ তারিখ থেকেই স্থানীয় কিছু যুবক নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগ তুলে কল্যাণেশ্বরী দল প্রকল্পের বাইরে ধর্না অবস্থানে বসেছেন। তৃণমূল থেকেও বিক্ষোভ দেখিয়ে ডেপুটেশন জমা দেওয়া হয়। পিএইচ দফতরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার আশিস নস্কর জানিয়েছেন, অভিযোগের তদন্ত করা হবে। যে ঠিকাদারকে কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের লাইসেন্স বাতিল হবে। নিয়ম বহির্ভূতভাবে কেউ চাকরি পেয়ে থাকল তাঁদেরকেও বহিষ্কার করা হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন ওই আধিকারিক।