সংক্ষিপ্ত

শহরের কলেজে পোশাক বিতর্ক, টর্ণ বা ছেঁড়া স্টাইলের জিন্স পরে আসা যাবে না। আদেশ অমান্য হলেই টিসি ধরিয়ে দেবে কলেজ কর্তৃপক্ষ।  

শহরের কলেজে পোশাক বিতর্ক। টর্ণ (Torn) বা ছেঁড়া স্টাইলের জিন্স পরে আসা যাবে না। আদেশ অমান্য হলেই টিসি ধরিয়ে দেবে কলেজ কর্তৃপক্ষ।  এমনই নোটিস জারি করেছে কলকাতার আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু কলেজ। নোটিসের নিচে অধ্যক্ষের সইও রয়েছে। এই ঘটনায় অনেকেই কর্ণাটকের হিজাব বিতর্কের গন্ধ খুঁজে পাচ্ছেন। যদিও কলকাতার আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু কলেজের এই নোটিসের সত্যতা যাচাই করেনি এশিয়ানেট নিউজ বাংলা (Asianet New Bangla)।

কলকাতার আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু কলেজে পোশাক নিয়ে পড়ল নোটিশ। টর্ণ বা ছেঁড়া স্টাইলের জিন্স পরে আসা যাবে না। আদেশ অমান্য হলেই টিসি ধরিয়ে দেবে বলে জানিয়েছে সেই নোটিসে কলেজ কর্তৃপক্ষ। এদিকে এই নোটিস চোখে পড়তেই ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্য়ে অসন্তোষ দেখা গিয়েছে। মুশকিলটা হচ্ছে হালের ডিজিটালাইজেশনের যুগে জিন্সে একটা কাটা ছেড়া থাকবে না, ভাবলেই দম বন্ধ হয়ে আসে কলেজ পড়ুয়াদের। পুরোনো হয়ে গিয়ে ছেঁড়া ফাটা নয়, এহল ট্রেন্ডি ছেড়া-ফাঁটা, যা কিনা জিন্স কোম্পানিগুলিই বাজারে এনেছে। স্বাভাবিকভাবেই এই পোশাক জনপ্রিয়। অধিকাংশ পড়ুয়ারাই এই টর্ণ জিন্স পড়ে কলেজে আসে। তবে এবার  অধ্যক্ষের সই দেওয়া পোশাক ফতোয়া ঘিরে উদ্বেগের মুখে পড়ুয়ার দল। 

আরও পড়ুন, হানিমুনে যাচ্ছেন, কিংবা স্বপ্ন দেখছেন, ভূলে এই জিনিসগুলি করবেন না

অনেকেই আবার এই ঘটনার সঙ্গে কর্ণাটকের হিজাব বিতর্কের মিল খুঁজে পাচ্ছেন। গত ৫ ফেব্রুয়ারি নোটিশ জারি করে হিজাব পরা নিষিদ্ধ করেছিল কর্ণাটক সরকার। তারপর থেকেই হিজাব ইস্যুতে বিক্ষোভ শুরু হয়। লাগাতার প্রতিবাদের জেরে বেশ অনেকদিন স্কুল কলেজ বন্ধ  রাখতে হয় কর্ণাটক সরকার। সরকারের সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে আবেদন করেন মুসলিম পড়ুয়ার দল। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব পড়া নিষিদ্ধ করা যাবে না, বলে একাধিক মামলা করা হয়। সরব হয় বিরোধী দলগুলি। সেই মামলাতেই কর্নাটক হাইকোর্ট স্পষ্ট করে দেয় হিজাব ইসলামে বাধ্যতামূলক নয়।

প্রসঙ্গত, পোশাক ফতোয়া নিয়ে বারবার বিতর্ক ফিরে আসছে। তবে প্রশাসন বা কর্তৃপক্ষের তরফে না হলেও, আগেও বারবার পোশাক পরা নিয়ে শহরের বুকে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষ করে শিক্ষা-সংষ্কৃতির শহরে বারাবার পোশাক ফতোয়া জারি হওয়ায় অনেকেই বিরক্ত কলেজ পড়ুয়ার দল। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করলেও স্বাভাবিকভাবেই অস্নতুষ্ট হয় তারাঁ। বিশেষ করে কোভিডের লম্বা লকডাউন কাটিয়ে ফের এই নয় বিতর্ক উসকে দিয়েছে রাজ্যকেও।