সংক্ষিপ্ত
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্নেহধন্য দাপুটে বিধায়ক জাকির হোসেন বনাম পৌর প্রশাসক মোজাহারুল ইসলামের চূড়ান্ত দ্বৈরথ। যা চাউর হতেই বুধবার রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
শাসক দলের (TMC) অন্তর্দ্বন্দ্ব (Inner Conflict) প্রকাশ্যে আসতেই তুলকালাম কান্ড তৈরি হয়েছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) জঙ্গিপুর পৌর এলাকায় (Jangipur Municipal Area)।
আড়াআড়ি বিভক্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) স্নেহধন্য দাপুটে বিধায়ক জাকির হোসেন (Jakir hossain) বনাম পৌর প্রশাসক মোজাহারুল ইসলামের চূড়ান্ত দ্বৈরথ। যা চাউর হতেই বুধবার রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তৃণমূলের টাউন সভাপতিকে মার ও পাল্টা মারের ঘটনায় উভয়পক্ষই থানার দ্বারস্থ হয়। দু’পক্ষই ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি তুলছে।
বিশেষ সূত্রের খবর এমনকি পুরসভার প্রশাসক মোজাহারুল ইসলাম সাতজন কো-অর্ডিনেটরকে সঙ্গে নিয়ে থানায়ও যান। দোষী ও সরকারি কাজে বাধা সৃষ্টিকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান। এদিকে এমন ঘটনায় রীতিমতো শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর বিধায়ক জাকির হোসেন অনুগামী ও পুরসভাাার প্রশাসক মোজাহারুলইসলামের অনুগামীদের চরম দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসায় রীতিমত শাসক দলের শীর্ষ নেতৃত্ব পর্যন্ত উদ্বিগ্ন প্রকাশ করেছে বলেই সূত্রের খবর।
এদিকে এ ঘটনার পরই ড্যামেজ কন্ট্রোলে' নেমে পড়েছে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। পাশাপাশি তৃণমূল বিধায়ক তথা দাপুটে নেতা জাকির হোসেন উৎকণ্ঠা প্রকাশ করে ঘনিষ্ঠ মহলে জানান," দলের মধ্যে কিছু বেনোজল ঢুকে পড়েছে যারা নানানভাবে আসন্ন জঙ্গিপুর পৌরসভা নির্বাচনের আগে দলের ভাবমূর্তি কে কুলুষিত করতে চাইছে।সে ক্ষেত্রে রাজ্য নেতৃত্ব কে পুরো বিষয়টি জানানো হয়েছে।এর বেশি এখন কিছু বলা সম্ভব নয়"।
যদিও পাল্টা বিধায়ক গোষ্ঠী রীতিমতো এলাকায় হুঁশিয়ারি দিতে শুরু করেছে। সেক্ষেত্রে এলাকার উন্নয়নে বাধা দিলে পুরসভার সমস্ত পরিষেবা বন্ধ করার কথা এদিন দিন জানিয়ে দেন। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি গৌতম ঘোষও দলবল নিয়ে থানায় গিয়ে দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিও জানান। দিনভর প্রশাসক ও বিধায়ক গোষ্ঠীর সমর্থকদের চাপানউতোর চলে। এদিকে দু’পক্ষকে সংযত থাকার বার্তা দিয়েছেন দলের জেলা সভাপতি। জঙ্গিপুরের সাংসদ তৃণমূলের জেলা সভাপতি খলিলুর রহমান বলেন, আমি জেলার বাইরে রয়েছি। দু’পক্ষকেই সংযত থাকার জন্য বলেছি।
মোজাহারুল সাহেব বলেন, একদল দুষ্কৃতী বারবার সরকারি কাজে বাধা দিচ্ছে। নিকাশি নালার কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সাদিকুল শেখ ওরফে গব্বর নামে এক রাজমিস্ত্রিকে প্রচণ্ড মারধর করা হয়। কলকাতায় তার চিকিৎসা চলছে। বিধায়ক জাকির হোসেন ঘনিষ্ঠ রঘুনাথগঞ্জ ব্লক সভাপতি গৌতম ঘোষ বলেন, ঠেলাঠেলির মধ্যে পড়ে গিয়ে এক শ্রমিক জখম হন। এর দায় পুর প্রশাসকের। তিনিই এই গণ্ডগোলের নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিস সঠিকভাবে তদন্ত করে দেখুক।
প্রসঙ্গত, ওইদিনের গণ্ডগোলে জখম তৃণমূলের টাউন সভাপতি ফিরোজ শেখ অনেকটাই সুস্থ হলেও সাদিকুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। জেলার এক উচ্চ পুলিশ আধিকারিক এদিন বলেন, উভয়পক্ষের অভিযোগ শুনেছি, ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।সব মিলিয়ে থানায় উভয়পক্ষের লিখিত অভিযোগ দায়ের করাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো চাপে পড়ে গিয়েছে শাসক শিবির এমনটাই মনে করছে মুর্শিদাবাদ জেলার রাজনৈতিক মহল।