সংক্ষিপ্ত

  • তৃণমূলের মহিলা পঞ্চায়েত প্রধানকে চোর অপবাদ
  • প্রধানকে হেনস্থার অভিযোগ দলীয় কর্মীদের বিরুদ্ধে 
  • সংবাদমাধ্যমের সামনে কেঁদে ফেললেন প্রধান
  • প্রাণভয়ে রয়েছেন বলে অভিযোগ

সংবাদমাধ্যমের সামনে হাউ হাউ করে কাঁদছেন তৃণমূল পঞ্চায়েতের মহিলা প্রধান। প্রাণভয়ে ক্যামেরার সামনেই কেঁদে ফেলেন তিনি।  বিরোধী রাজনৈতিক দল নয়, খোদ নিজের দলের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি থেকে কর্মী সমর্থকদের হাতে চোর 'অপবাদে' হেনস্থা হতে হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় মুর্শিদাবাদের খয়রামারি এলাকায়।

তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান সেলিনা বিবির বিরুদ্ধে দলেরই একাংশের অভিযোগ, ওই প্রধান বেশ কিছু দামি সামগ্রী, যেমন ল্যাপটপ থেকে শুরু করে অফিসের সিসি ক্যামেরার মেশিন, ফ্যান, চেয়ার টেবিল পত্র সরিয়ে বিক্রি করে ফেলেছেন। এছাড়াও তিনি নানান ধরনের আর্থিক দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ।ওই মহিলা প্রধানের তরফে তাঁকে হেনস্থার অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে বিডিওর কাছে।

শুধু হেনস্থাই নয়, এদিন তাঁকে রীতিমত ঘেরাও করে রাখেন তৃণমূলের কর্মীরা বলে অভিযোগ তাঁর। পরে প্রশাসন ও পুলিশের উদ্যোগে কোনরকমে উদ্ধার করা হয় তাকে। মূলত 
তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের মহিলা প্রধানের বিরুদ্ধে পঞ্চায়েতের একাধিক দামি জিনিস পত্র সরিয়ে ফেলা থেকে শুরু করে নানা আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। তারই ভিত্তিতে চোর অপবাদ দিয়ে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান দলের পঞ্চায়েত সদস্য থেকে শুরু করে এলাকার তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের একাংশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিধানসভা নির্বাচনে বড় ব্যবধানে জেতার পর তৃণমূলের ১৭ জন সদস্যের মধ্যে ১১ জন সদস্য একেবারে উঠে পড়ে লেগেছেন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সেলিনা বিবিকে সরাতে। সেক্ষেত্রে সানিয়া পঞ্চায়েতের প্রধান সেলিনা বিবি বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাকের বিরোধিতা করেছিলেন। উল্টে নির্দল প্রার্থী রাফিকা সুলতানাকে সমর্থন করেন। 

পঞ্চায়েতের সদস্য ও গ্রামবাসী থেকে ব্লক প্রশাসনের একটা অংশের দাবি, ওই মহিলা প্রধান গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু সামগ্রী পঞ্চায়েত থেকে সরিয়ে নিজের হেফাজতে রেখেছেন। যদিও তৃণমূল প্রধান সেলিনা বিবি সংবাদ মাধ্যমের সামনে কাঁদতে কাঁদতে জানান,"আমি কোন কিছু চুরি করিনি বা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নয়। দপ্তরের নানান সামগ্রী,যন্ত্রাংশ কিছু খারাপ হয়েছিল তা মেরামত করার জন্য পাঠানো হয়। আমাকে চোরের অপবাদ দিয়ে এইভাবে শারীরিক হেনস্থা করে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। আমি প্রাণভয়ে রয়েছি"।