সংক্ষিপ্ত

চারিদিকে যখন সকলে উৎসবে মাতোয়ারা ছিল ঠিক তখনই দিনে দুপুরে বাড়ির মধ্যে ঢুকে আততায়ী এক এক করে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে, মাথা থেঁতলে, মৃত্যু নিশ্চিত করতে গলার নলি পর্যন্ত কেটে দিতে কসুর করেনি। 

সময়ের অতলে হারিয়ে যাওয়া ভিন্ন স্বাদের খবর। বিজয়া দশমীর আঁতকে ওঠা স্মৃতি! যে ঘটনা শুধু রাজ্য নয় সারা দেশকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল, ঠিক আজকের দিনেই ২ বছর আগে (2years Ago) মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) জিয়াগঞ্জের লেবু বাগান এলাকার 'ট্রিপল মার্ডার কান্ড' (Tripple Murder Case)। চারিদিকে যখন সকলে উৎসবে মাতোয়ারা ছিল ঠিক তখনই দিনে দুপুরে বাড়ির মধ্যে ঢুকে আততায়ী এক এক করে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে, মাথা থেঁতলে, মৃত্যু নিশ্চিত করতে গলার নলি পর্যন্ত কেটে দিতে কসুর করেনি। 

এলাকার বাসিন্দা শিক্ষক বন্ধু প্রকাশ পাল, তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বিউটি পাল এবং তাদের একমাত্র শিশু সন্তান অঙ্গন পালকে খুন করা হয় বিজয়া দশমীর দিনেই। ঘটনার সাত দিন পরে পুলিশ এই খুনের সঙ্গে যুক্ত থাকার অপরাধে সাগরদীঘী থানার সাহাপুরের বাসিন্দা উৎপল বেহারাকে গ্রেপ্তার করে। এমন নারকীয় কাণ্ডের ২ বছর পর কি পরিস্থিতি রয়েছে সেখানে তা জানতে এদিন ঘটনাস্থলে হাজির হয়েছিলেন এশিয়ানেট বাংলার প্রতিনিধি। 

সেই অভিশপ্ত বাড়ি নিষ্প্রদীপ। শুধু তাই নয় আশেপাশেও যেন একটা গভীর আতঙ্কের চাপা ছায়া রয়েছে। ঘটনার কথা বলতে গিয়েই প্রতিবেশীদের গলা যেন এমন ভারি হয়ে আসছিল এ দিন স্মৃতিচারণের মধ্যে। জানা যায়, বর্তমানে ওই নারকীয় ঘটনার দায়ে গ্রেফতার উৎপল বিচারাধীন বন্দি। বিশেষ সূত্র মারফৎ আরও জানা যায়, ধৃতের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে ভারতীয়  দণ্ডবিধির ৪২০, ৪০৬, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪০৯, ১২০বি ও ৩৪ ধারায় মামলা নথিভুক্ত হয়ে রয়েছে। 

ছেলের মৃত্যুর বাৎসরিক কাজ কর্ম  সদ্য পালন করে ওঠা বন্ধু প্রকাশ পালের মা মায়া রানী পাল চোখ মুছতে মুছতে বলেন, জীবনে বেঁচে থাকার আর কোন কারণ নেই আমার। পুত্র, পুত্রবধু, তাদের সন্তান কেউ আর রইল না। এখন শুধু একটাই ইচ্ছে অপরাধী যেন ফাঁসির কাঠগড়ায় পৌঁছে যায়"। পাশাপাশি উৎপলের আইনজীবী কৌশিক দে জানান,"আমার মক্কেল উৎপলকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হচ্ছে এর পেছনে অনেক গভীর রহস্য রয়েছে"‌