সংক্ষিপ্ত
- পর্যটন মানচিত্রের সঙ্গে যুক্ত হতে চলেছে আরও দুটি স্থান
- সেগুলি হল মাহেশের জগন্নাথ মন্দির ও বলাগড়ের সবুজ দ্বীপ
- দুটি এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন ইন্দ্রনীল সেন
- হুগলির অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান মাহেশ
রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রের সঙ্গে যুক্ত হতে চলেছে আরও দুটি স্থান। দুটিই অবস্থিত হুগলি জেলায়। সেগুলি হল মাহেশের জগন্নাথ মন্দির ও বলাগড়ের সবুজ দ্বীপ। সম্প্রতি এই দুটি এলাকাকে রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রে স্থান দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন পর্যটন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। এই দুটি এলাকা পরিদর্শনও করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন- ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে
হুগলির অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান হল মাহেশ। প্রতি বছর রথের সময় এখানে ভিড় জমান বহু মানুষ। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে দর্শনার্থীরা সেখানে যান। আর এবার সেই মন্দিরকে পর্যটনক্ষেত্রের মর্যাদা দিতে চলেছে রাজ্য সরকার। এর মাধ্যমে শুধুমাত্র রথের সময়ই নয় সারা বছরই এই জায়গাতে ভিড় করতে দেখা যাবে পর্যটকদের। আর পর্যটন মানচিত্রে স্থান পাওয়ার ফলে শুধু রাজ্যবাসীই নয়, ভিন রাজ্যের বহু মানুষকেও সেখানে ভিড় জমাতে দেখা যাবে।
আরও পড়ুন- কলকাতার বুকে বোটিং আনপ্লাগ, গ্রীষ্মে পার্ফেক্ট হ্যাংআউটের নতুন ঠিকানা, উদ্বোধনে বিক্রম
অন্যদিকে, সবুজদ্বীপের জনপ্রিয়তা রয়েছে পিকনিক স্পট হিসেবে। যদিও পর্যটকদের খুব বেশি এই এলাকায় দেখা যায় না। আর এবার পর্যটন মানচিত্রের তালিকার সঙ্গে যুক্ত হতে চলেছে এই এলাকাও। সম্প্রতি মাহেশ ও সবুজদ্বীপ পরিদর্শনে গিয়েছিলেন ইন্দ্রনীল সেন। মাহেশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "মন্দিরের কাজ প্রায় হয়ে গিয়েছে। ২০১৮ সালে মুখ্যমন্ত্রী মাহেশকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার নির্দেশ দিয়েছিলেন। ২০১৯ সালে তার কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু, করোনার জন্য সেই কাজ অনেকদিন থেমেছিল। তবে এখন কাজ অনেকটাই হয়ে গিয়েছে। মাত্র কিছুটা অংশের কাজ বাকি রয়েছে।"
আরও পড়ুন- ঘুরতে গিয়ে জলের মত খরচ টাকা, এই দশ টিপসেই বাঁচবে অর্থ, কমবে খরচ, জেনে রাখুন
এরপর মাহেশের উন্নয়ন কীভাবে করা যায় তা নিয়ে জেলাশাসক দীপাপ প্রিয়া পি, বিধায়ক সুদীপ্ত রায়, মন্দির কমিটির সেক্রেটারি পিয়াল অধিকারী-সহ অন্য প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন ইন্দ্রনীল সেন।
২০১১ সালে তৎকালীন পর্যটন মন্ত্রী রচপাল সিং প্রথমবার সবুজ দ্বীপ পরিদর্শন করেছিলেন। তখনই ওই এলাকাকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। এরপর ২০১৭ সালে সবুজ দ্বীপকে ইকো পার্ক হিসেবে গড়ে তোলার কথা ঘোষণা করা হয়। তারপরই শুরু হয় কাজ।