সংক্ষিপ্ত
- দার্জিলিংয়ে বেড়াতে গিয়ে প্রাণ গেল মা ও মেয়ের
- অল্পের জন্য় রক্ষা পেলেন পরিবারের আরও দুই সদস্য
- উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দু'জনেই
- মৃত ও আহতদের বাড়ি হুগলির চুঁচুড়ায়
পুজোর পরই দার্জিলিং বেড়াতে গিয়েছিলেন। ফেরার পথে শিলিগুড়িতে দুর্ঘটনার কবলে পড়লেন একই পরিবারের চার সদস্য। মারা গিয়েছেন মা ও মেয়ে। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন বাকি দু'জন। সোমবার সকালে দুর্ঘটনা ঘটেছে গজলডোবার কাছে।
স্বামী প্রয়াত, ছেলে কর্মসূত্রে ভিনরাজ্যে থাকেন। হুগলির চূঁচুড়ায় বউমা, নাতি ও মেয়ে-কে নিয়ে থাকতেন জয়শ্রী চট্টোপাধ্যায় নামে এক বৃদ্ধা। গত ১৭ অক্টোর বাড়ির সকলকে নিয়ে দার্জিলিং ও কালিম্পং বেড়াতে গিয়েছিলেন তিনি। মঙ্গলবার ফেরার কথা ছিল। জানা দিয়েছে, সোমবার একটি গাড়ি ভাড়া করে দার্জিলিং থেকে শিলিগুড়িতে ফিরছিলেন জয়শ্রীদেবী, তাঁর মেয়ে শ্রীপর্ণা, বউমা প্রসূনা ও আড়াই বছরের নাতি হিয়ন। শিলিগুড়ির কাছে গজলডোবায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তিস্তা ক্যানেল পড়ে যায় গাড়িটি। খবর পেয়ে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছয় স্থানীয় মিলনপল্লী ফাঁড়ির পুলিশ। চারজনকেই উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় আমবাড়ি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। জয়শ্রী চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর মেয়ে শ্রীপর্ণাকে মৃত বলে ঘোষণা করে চিকিৎসক। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত জয়শ্রীদেবীর বউমা প্রসূনা ও নাতি হিয়ন। দু'জনকেই স্থানান্তরিত করা হয়েছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে। এদিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ইতিমধ্যেই ছত্তিশগড়ের রায়পুর থেকে শিলিগুড়িতে চলে এসেছেন জয়শ্রীদেবীর ছেলে অয়ন। শোকে ছায়া নেমেছে চুঁচুড়ার ফার্ম সাইড রোড এলাকায়।
দিন কয়েক আগে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ থেকে কেরলের বেড়াতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলেন পাঁচ মহিলা। সম্পর্কে তাঁরা আবার বোন। দুর্ঘটনায় মারা যান তিনজন, গুরুতর আহত হন দু'জন। আহতেরা এখন কেরলের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে মৃত দুই বোনের দেহ মঙ্গলবার কলকাতা এনে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আর একজনের দেহ নিয়ে মুম্বই রওনা দিয়েছেন রাজ্য সরকারের রেসিডেন্স কমিশনার। আহত দুই বোনের চিকিৎসার যাবতীয় দায়িত্ব নিয়েছে রাজ্য সরকার।
কেউ সপরিবারে, তো কেউ আবার বন্ধুদের সঙ্গে, পুজোর মিটতেই বেড়াতে বেরিয়ে পড়েছেন অনেকেই। চার বোনকে নিয়ে কেরলে বেড়াতে গিয়েছিলেন বনগাঁ শোভা বিশ্বাসও। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, গত ১৫ অক্টোবর হাওড়ার শালিমার থেকে কেরলগামী ট্রেনে ওঠেন সকলে। তিরুঅনন্তপুরমে পৌঁছানোর পর গত শুক্রবারও বাড়ির লোকের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন শোভাদেবী। শনিবার সকালে দুর্ঘটনার খবর পান পরিবারের লোকেরা। জানতে পারেন, দুর্ঘটনায় শোভাদেবী-সহ তিনবোন মারা গিয়েছেন। গুরুতর আহত বাকি দুইজন। জানা গিয়েছে, তিরুঅনন্তপুরম পৌঁছানোর পর একটি গাড়ি ভাড়া করে আশেপাশের ঘুরতে বেড়িয়েছিলেন পাঁচজন। হাইওয়েতে পিছন থেকে ধাক্কা মারে একটি ট্রাক।