সংক্ষিপ্ত
- উত্তরপ্রদেশে কাজ করতে গিয়েছিল রায়গঞ্জের এক যুবক
- সেখানকার এক যুবককে খুন করে সে পালিয়ে আসে বলে অভিযোগ
- দেড় বছর রায়গঞ্জে ধরা পড়ল অভিযুক্ত
- তাকে গ্রেফতার করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ
ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে খুন করে পালিয়ে এসেছিল সে। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। দেড় বছর পর উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।
ধৃতের নাম মহম্মদ মহিবুল। বাড়ি, রায়গঞ্জের ভাটোল পঞ্চায়েতের পূর্ব বসতপুর গ্রামে। কয়েক বছর আগে উত্তরপ্রদেশের নওদায় শ্রমিকের কাজ করতে যায় মহিবুল ও তার ভাই। পুলিশের দাবি, নওদায় রহমান নামে স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে টাকা-পয়সা নিয়ে বচসায় জড়িয়ে পড়ে মহিবুল। ২০১৮ সালে মে মাসে খুন হয়ে যান রহমান। মহিবুল তাকে খুন করে রায়গঞ্জে পালিয়ে আসে বলে অভিযোগ। তদন্তে নেমে এ রাজ্যে অভিযুক্তের বাড়ির সন্ধান পায় উত্তরপ্রদেশে নওদা থানার পুলিশ। উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ থানার আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তদন্তকারীরা। কিন্তু মহিবুলকে নাগাল পাওয়া যায়নি।
জানা গিয়েছে, দিন দুয়েক আগে অন্য একটি মামলা ভাটোল এলাকা থেকে মহম্মদ মহিবুলকে গ্রেফতার করে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। উত্তরপ্রদেশের নওদা থানায় খবর পাঠান তদন্তকারীরা। শুক্রবার রায়গঞ্জ এসে অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নেন ভিনরাজ্যের পুলিশ আধিকারিকরা। নিয়মাফিক ট্রানজিট রিমান্ডে মহিবুলকে উত্তরপ্রদেশে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, কয়েক বছর আগে কাশ্মীরে কাজ করতে গিয়ে জঙ্গিদের হাতে খুন হন মুর্শিদাবাদের পাঁচজন শ্রমিক। ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল রাজ্যে। তখন উপত্যকায় কর্মরত এ রাজ্যের শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনা বন্দোবস্তও করেছিল সরকার। কিন্তু, এবার উল্টো ঘটনা ঘটল। ভিনরাজ্যে বাঙালি শ্রমিকের বিরুদ্ধেই খুনের অভিযোগ উঠল।